বগুড়ার শাজাহানপুরে শ্রী বলরাম চন্দ্রসহ তার পরিবারকে পূর্ব শত্রতার জেরে পূর্বপরিকল্পনা মতে মারপিট করেছে । এ ঘটনায় আহত দুইজন। শাজাহানপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ ও পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে উপজেলার আমরুল ইউনিয়নের ডেমাজানি পালপাড়া গ্রামের মৃত্যু সূর্য্য দাস চন্দ্রের পুত্র বলরাম চন্দ্রসহ তার পরিবারের সাথে বিবাদী শ্রী নিত্যনন্দ চন্দ্র দাস(৫২) ও তার ছেলে শ্রী দিবাশীষ চন্দ্র দাস ডন(২৭)সহ তার পবিবারের লোকজনের সাথে সামান্য টুকি টাকি বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিবাদী নিত্যনন্দ চন্দ্র দাস সে একজন মাছ ব্যবসায়ী এবং পাশাপাশি সুদের ব্যবসা করে। তার নিকট থেকে অনেক ব্যক্তি সুদের টাকা নিয়ে ঠিকমত লাভের টাকা দিতে না পারায় বাড়ি ছাড়া হয়েছে।
আবার কেউবা বাড়ী বিক্রি করে লাভের টাকা দিয়েছেন। লাভের টাকার জন্য বাড়ী ছেড়ে চলে গেছেন । সে দলীয় প্রভাব ও জোর জুলুম করে লাভের টাকা আদায় করেন। যেমন- কাত্তিক মহন্তের ছেলে শ্যামল মহন্ত(৪৫), মোগলা প্রামানিকের ছেলে সুজন(৩৫) ও সুবল দাস(৬০)এরা সবাই একই এলাকার ব্যক্তি। সেই পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত ১৫ আগষ্ট সকাল অনুমান ৯ ঘটিকার সময় বিবাদীগন বাদীর বাড়ির নিকটে যেয়ে বাঁশের লাঠি, কাটের বাটাম ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বাদী ও তাঁর স্ত্রী পরিবারের লোকজনকে অকত্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি প্রদান করিতে থাকে,বাদী বলরামসহ তার লোকজন তা নিষেধ করিলে এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র দ্বারা বলরামসহ তার পরিবারের লোকজনকে মারপিট করে এবং বাদীর ভাই বউয়ের নিকট থেকে ৮আনা ওজনের স্বর্নের চেন জোরপূর্বক সিনিয়ে নেয় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে ও প্রান নাশের হুমকি দেয়।
এরপর এলাকা বাসীর সহযোগিতায় দুই জন স্থানীয় হাঁসপাতালে ভর্তি হলে প্রাথমিক চিক্যিসা দিয়ে তাদেরকে পরে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। বর্তমানে চিক্যিসাদীন রয়েছেন। এবিষয়ে নিত্যনন্দ চন্দ্র দাসের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন এসব বিষয় সম্পূর্ণ মিথ্যা বা বানোয়াট। এবিষয়ে শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম বলেন থানায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।