"আমি বন্দর থানার এস.আই রফিকুল ইসলাম" তুমি মাদক বিক্রি করো ! এই নম্বরে টাকা পাঠাও' অথবা ‘তুমি তো ইয়াবা খাও ! আমার নম্বরে বিকাশ করো- নয়তো কাল তুলে আনবো ? —এভাবে ভুয়া নামে নিজেকে বন্দর থানা পুলিশের এস.আই দাবি করে চাঁদাবাজি করতেন খন্দকার ইশতিয়াক আহম্মদ ওরফে (বায়েজিদ) ।

যেখানে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা বিভিন্ন অপকর্মে প্রতিনিয়ত লিপ্ত থাকে- তখন আমাদের কোথাও যাওয়ার রাস্তা থাকে না ৷

 "আমি বন্দর থানার এস.আই রফিকুল ইসলাম" তুমি মাদক বিক্রি করো ! এই নম্বরে টাকা পাঠাও' অথবা ‘তুমি তো ইয়াবা খাও ! আমার নম্বরে বিকাশ করো- নয়তো কাল তুলে আনবো ? —এভাবে ভুয়া নামে নিজেকে বন্দর থানা পুলিশের এস.আই দাবি করে চাঁদাবাজি করতেন খন্দকার ইশতিয়াক আহম্মদ ওরফে (বায়েজিদ) ।

কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না তার, পুলিশ সেজে চাঁদা নিতে গিয়ে ধরা পড়লো আসল পুলিশের হাতে।ভুয়া পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয়ের চাঁদা নিতে গেলে বন্দর থানার বারিক বিল্ডিং এলাকা থেকে বায়েজিদকে আটক করা হয়।বায়েজিদ (৩৭) চট্টগ্রাম বন্দরের গ্রিজার হাইড্রোগ্রাফি ডিপার্টমেন্টে জরিপ শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব থানা এলাকার মৃত খন্দকার আজিজুর রহমানের ছেলে। বর্তমানে তিনি বন্দর কলোনির বি-টাইপ এলাকায় বসবাস করেন।

বন্দর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কিশোর মজুমদার বলেন, বন্দরের চাকরিজীবী বায়েজিদ দীর্ঘদিন ধরে নিজেকে বন্দর থানার এস.আই পরিচয় দিয়ে মানুষের থেকে চাঁদা দাবি করতো। মূলত মাদক বিক্রেতা ও ক্রেতারাই ছিলো বায়েজিদের মূল টার্গেট। মাদকসেবন করে এমন দুজন থেকে ৯৪০০ টাকা আত্মসাৎ করে সে। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে বন্দর থানার এস.আই রাজ্জাকুল ইসলাম রুবেল তাকে আটক করেন।

নাম পরিচয়ে অনিচ্ছুক বন্দরে এক কর্মচারী বলেন, বায়েজিদ দীর্ঘদিন ধরে এমন অপকর্ম করে আসছে, এসব অসাধু কর্মচারীদের জন্য মানুষ বন্দরকে কলষ্ক করে ৷যেখানে মাদক সেবনকারীর অভিযোগে বায়েজিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানে ঘটনাটি কতটুকু সত্য তা যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি ৷বায়েজিদকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান কিশোর মজুমদার।