বিগত পনের বছর একটানা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আওয়ামী সমর্থক এম পি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থাকা সত্ত্বেও তেমন কোন উন্নয়ন হয় নি আমতলী তে। আমতলী উপজেলার একটি জনবহুল ইউনিয়ন এক নং গুলিশাখালী ইউনিয়ন। গুলিশাখালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। এখান থেকে উপজেলা শহরে যাওয়ার কোন ভালো পাকা সড়ক নেই

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা একটি জনবহুল নদী বেষ্টিত উপকূলীয় এলাকা। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা। সামান্য ঝড়,বৃষ্টি বা বাতাসে গাছ পালা বা ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। আমতলী উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। মানুষ চলাচলের অনুপযোগী। বিগত পনের বছর একটানা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। আওয়ামী সমর্থক এম পি ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থাকা সত্ত্বেও তেমন কোন উন্নয়ন হয় নি আমতলী তে। আমতলী উপজেলার একটি জনবহুল ইউনিয়ন এক নং গুলিশাখালী ইউনিয়ন। গুলিশাখালী ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা ঘাটের বেহাল দশা। এখান থেকে উপজেলা শহরে যাওয়ার কোন ভালো পাকা সড়ক নেই । আমতলী উপজেলার এক নং গুলিশাখালী ইউনিয়নের নয় নং ওয়ার্ডের কালিবাড়ী গ্রাম টি একটি জনবহুল ও গুরুত্বপূর্ণ গ্রাম। এখানে ভোটার সংখ্যা প্রায় চার হাজারের মতো। ছয়, সাত হাজারের মতো মানুষের বসবাস কালীবাড়ি গ্রামে। এ গ্রামে দুই টি দাখিল মাদ্রাসা, একটি আলিম মাদ্রাসা, একটি ডিগ্রি কলেজ, একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তিনটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। কালিবাড়ী গ্রামে আটটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও গ্রামে নেই কোন পাকা সড়ক। প্রতিদিন অসংখ্য ছাত্র -ছাত্রী, শিক্ষক কর্মচারী সহ সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ অসহনীয় কষ্ট স্বীকার করে কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করে। গ্রামের সাধারণ মানুষের প্রধান পেশা কৃষি কাজ। কৃষি ফসল উৎপাদনের পর বাজারে বিক্রি করতে তাঁদের কষ্টের শেষ থাকে না। অনেক সময় ই কৃষি ফসল উৎপাদন কারীদের মাথায় বোঝা বহন করে তাদের উৎপাদিত ফসল বাজারে বিক্রি করতে হয়। কাঁচা এই রাস্তা দিয়ে বৃষ্টির সময় চলাচল আরও কষ্টসাধ্য। তখন এসব রাস্তায় হাঁটু সমান কাঁদা হয়। গ্রামের সর্ব স্তরের মানুষের প্রানের দাবি তাদের চলাচলের রাস্তা পাকা করন।এ দাবি তারা অনেক আগ থেকেই করে আসছে কিন্তু তাঁদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি আজও । ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উপজেলা তথা সংসদ নির্বাচন আসলেই অবহেলিত এ গ্রামে উপস্থিত হন প্রার্থীরা। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কা নিয়ে প্রার্থী হিসেবে আসেন এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম। কালীবাড়িতে এক নির্বাচনী উঠান বৈঠকে তিনি বলেন আমি নির্বাচিত হয়ে সর্ব প্রথম কালীবাড়ি রাস্তা পাকা করন করব। তার বড় ভাই এল জি ডির নির্বাহী প্রকৌশলী। সাধারণ মানুষ আশায় বুক বাঁধে যে এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম নির্বাচিত হলে রাস্তা ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন হবে, সেখানেও আশায় গুড়ে বালি। তার আমলে ও চোখে পরার মত কোন কাজ হয়নি।

গুলিশাখালী ইউপি -টু কালামপুর মাদ্রাসা ভায়া আমজাদিয়া মাদ্রাসা রোড ,যাহার কোড ৫০৪০৯৪০৬০, দৈর্ঘ্য ৭.৭০ কি মি।অন্য রাস্তা টি হল কালীবাড়ি নুরানী মাদ্রাসা টু সেরাজ প্যাদা রোড ভায়া জবেদ আলী প্যাদা রোড । রাস্তা দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা,যে রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চলাচল করে কিন্তু রাস্তা দুটির বেহাল দশা। বৃষ্টি দিনে আরো সমস্যায় পড়ে গ্রামের মানুষ। রাস্তা দুটি পাকা করন অতীব জরুরি।এ ব্যাপারে নুরানী বালিকা মাদ্রাসার সুপার জনাব মোঃ আলাউদ্দিন সিকদার এর কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন কালীবাড়ি গ্রামে এত গুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও একটি পাকা সড়ক নেই এটা খুবই দুঃখজনক। রাস্তা দুটি পাকা করন অতীব জরুরি। এলাকার বাসীর পক্ষে অবসর প্রাপ্ত সরকার চাকুরী জীবি আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল হক মাতুববর এর কাছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, গুলিশাখালী ইউনিয়নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হল কালীবাড়ি।সেটা হতে পারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিক দিয়ে ,হতে পারে ভোটের দিক দিয়ে। কালীবাড়ি গ্রামের ভোট যে বেশি পায় সেই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়, এমনটা প্রচলন আছে। ভোটের আগে নেতারা কালীবাড়ি গ্রামের রাস্তা ঘাট পাকা করনের কথা বললেও নির্বাচিত হবার পরে তারা এসব স্মৃতি ভুলে যায়। বিগত অনেক বছর ধরে এমনটি ই দেখতে পাচ্ছি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন জানি না কবে আমাদের এ অবহেলিত রাস্তা ঘাট পাকা করন হবে? এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম এর যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠো ফোন টি বন্ধ পাওয়া যায়।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন প্রক্রিয়াধীন আছে কিন্তু কবে নাগাদ পাকা করনের এ কাজ শুরু হবে তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেন নি। এলাকা বাসীর প্রানের দাবি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তা দুটি যেন পাকা করন করা হয়।