বিশ্বকাপের ফাইনাল ফাইনালের মতোই হলো। শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে অবশেষে জয় পেল আর্জেন্টিনা। ২৩ ও ৩৬ মিনিটে মেসি ও ডি মারিয়ার গোলে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত (২-০) গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের অপেক্ষায় ছিল আর্জেন্টাইনরা।

এরপর মাত্র দুই মিনিটে ২ গোল করে ফ্রান্সকে সমতায় ফেরান কিলিয়ান এমবাপ্পে। নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলায় ২-২ ব্যবধানে ড্র হওয়ার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ে প্রথমে গোল করে (১০৮ মিনিটে) আর্জেন্টিনাকে ফের এগিয়ে নেন লিওনেল মেসি। এরপর মাত্র ১০ মিনিটের ব্যবধানে (১১৮ মিনিটে) পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করার মধ্য দিয়ে ফ্রান্সকে ফের সমতায় (৩-৩) ফেরান এমবাপ্পে। ১২০ মিনিটের খেলা ৩-৩ ড্র হওয়ায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলের ব্যবধানে জিতে তৃতীয় শিরোপা নিশ্চিত করে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। ১৯৮৬ সালে ম্যারাডোনা বিশ্বকাপ উপহার দিয়ে যাওয়ার পর ৩৬ বছরে কেটে যায়। শিরোপার এই খরা কাটালেন লিওনেল মেসি।

তার পায়ের জাদুতে কাতার বিশ্বকাপে জিতে তৃতীয়বার শিরোপা ঘরে তুলে নেয় আর্জেন্টাইনরা। এই বিশ্বকাপ জয়ে বাঁধভাঙা আনন্দে ভাসছে আর্জেন্টিনা।দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনির কাছে হয়তো আজীবণ ঋণী থাকবেন আর্জেন্টিনার মানুষেরা।আর্জেন্টিনার স্বপ্ন জয়ের কারিগর। গত আট বিশ্বকাপে যা কেউ করতে পারেননি, তা তিনি করে দেখিয়েছেন।তাই তো আর্জেন্টিনার মানুষদের আনন্দের মুহূর্তটি আজ উপভোগ করতে বলেছেন স্কালোনি। কোচ হিসেবে আজ তার সবচেয়ে বড় গর্বের দিন।টাইব্রেকারে গনসালো মন্তিয়েলের শট থেকে জয় নিশ্চিত হওয়ার পর কান্নায় ফেটে পড়েন তিনি।তবে এটি দুঃখের কান্না নয়, সুখের কান্না। জয়ের পর কোচ স্কালোনি বলেন, ‘আমি গর্বিত। অন্যান্য দিনের চেয়ে কম রোমাঞ্চিত আমি, তবে আমি আজ মুক্ত। এই দল আমাকে গর্বিত করেছে, এই অর্জন তাদের। আমি মানুষকে বলতে চাই- এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপভোগ করুন।’