বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই সূচকে, ২০২৩-২০২৪ সালের তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৯৪টি দেশকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। ৯৫ থেকে ১০০ স্কোর প্রাপ্ত দেশগুলোকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশ এই গৌরবময় ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছে, যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোও রয়েছে।

বাংলাদেশ বিশ্ব সাইবার নিরাপত্তায় একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন (আইটিইউ) প্রকাশিত 'গ্লোবাল সাইবারসিকিউরিটি ইনডেক্স ২০২৪ এ বাংলাদেশ ‘রোল মডেল’ ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এই সূচকে, ২০২৩-২০২৪ সালের তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বের ১৯৪টি দেশকে মূল্যায়ন করা হয়েছে। ৯৫ থেকে ১০০ স্কোর প্রাপ্ত দেশগুলোকে ‘রোল মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বাংলাদেশ এই গৌরবময় ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছে, যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোও রয়েছে।

২০২০ সালের রিপোর্টে বাংলাদেশ ৮১.২৭ স্কোর করেছিল। তবে এবারের রিপোর্টে পাঁচটি প্রধান মানদণ্ডে মূল্যায়ন করা হয়েছে আইনি ব্যবস্থা, কারিগরি ব্যবস্থা, সাংগঠনিক ব্যবস্থা, সক্ষমতা উন্নয়ন এবং সমন্বয়। অত্যাশ্চর্য অগ্রগতির প্রমাণ হিসেবে বাংলাদেশ তিনটি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ স্কোর অর্জন করেছে কারিগরি ব্যবস্থা, সাংগঠনিক ব্যবস্থা, এবং সমন্বয়। বাকি দুটি ক্ষেত্রে দেশের স্কোরও বেশ ভালো সক্ষমতা উন্নয়নে ১৯.৫২ এবং আইনি ব্যবস্থায় ১৭.৪৪ স্কোর অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

গ্লোবাল সাইবারসিকিউরিটি ইনডেক্স একটি গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড যা বিভিন্ন দেশের সাইবার নিরাপত্তার প্রস্তুতি এবং সক্ষমতা পরিমাপ করে। বাংলাদেশকে ‘রোল মডেল’ ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা দেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা অবকাঠামো এবং প্রক্রিয়ার প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন।এই স্বীকৃতি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের এই অর্জন আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি সম্প্রদায়ের মধ্যে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করবে এবং ডিজিটাল খাতে আরও বিনিয়োগ ও সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করতে সহায়ক হবে। বিশ্বব্যাপী সাইবার হুমকি ক্রমাগত পরিবর্তিত হচ্ছে। বাংলাদেশের এই সাফল্য প্রমাণ করে যে দেশের ডিজিটাল প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করতে এবং নাগরিক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি সংস্থার জন্য একটি নিরাপদ সাইবারস্পেস তৈরি করতে চলমান প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।