পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার আকন বাড়ীর সামনে বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম কর্তৃক একযুগ ধরে দখলকৃত সরকারের ২ কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ড অভিযান চালিয়ে ওই জমি উদ্ধার করেন।

পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ড এলাকার আকন বাড়ীর সামনে বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুল ইসলাম কর্তৃক একযুগ ধরে দখলকৃত সরকারের ২ কোটি টাকা মূল্যের জমি উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ড অভিযান চালিয়ে ওই জমি উদ্ধার করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাউফল পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের বাউফল মৌজার ৮৭ নং জেএলের ১নং খাস খতিয়ানের ২০২ নং দাগের ০.৮৬ একর জমি বাউফল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) দখল করেন এবং ওই জমিতে তিনি গত ৫-৭ দিন আগে ঘর তোলা সহ ঘেরে মাছ চাষ ও সেখানে পাকা পিলার পুতে মুরগির ফার্ম তৈরির কাজ করছিলেন। ওই জমিতে সরকারী সাইনবোর্ড লাগানো ছিল। ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদ সেই সাইন বোর্ডটি খুলে ফেলে দেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ওই এলাকার প্রতি শতাংশ জমির দাম আড়াই লাখ টাকা। সে হিসাবে ওই জমির মূল্য ২ কোটি১৫ লাখ টাকা। আজ(শুক্রবার) সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সার্ভেয়ার কামরুল ইসলামসহ, ১৫-২০ লোক ও কয়েকজন পুলিশ নিয়ে ওই সরকারী জমি উদ্ধারের জন্য আসেন উপজেলা সহকারি কমিশনার( ভ’মি) প্রতিক কুমার কুন্ড।

এ সময় ঘেরের পাড়ে নির্মিত একটি কাঠের ঘর ভেঙ্গে দেন এবং ঘেরের ভিতরে মুরগির ফার্মের পিলার তুলে ফেলেন। ঘেরের উপরে ছড়ানো জাল কেটে দেন। এরপর সেখানে একটি গাছের সাথে এই জমির মালিক গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক, পটুয়াখালী লেখা সাইনবোর্ডটি পুনরায় লাগিয়ে দেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাহিদ বলেন, ‘জমিটি সরকারী তাতে সন্দেহ নাই। যেহেতু দীর্ঘ বছর ধরে আমাদের দখলে আছে তাই সেখানে মাছের ঘের ও মুরগরি খামার তৈরি করেছি। সরকারের প্রয়োজন হলে ছেড়ে দেব। উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) প্রতিক কুমার কুন্ড বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।