পরীক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলন চলাকালীন সময় বহু পরিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কেউ কেউ নিহতও হয়েছেন। আহত অনেক শিক্ষার্থী এখনও চিকিৎসাধীণ রয়েছেন। এই অবস্থায় আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো নেই। আন্দোলনের সময় পরিক্ষার রুটিন পরিবর্তন হওয়ায় এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও আমাদের পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বাকি পরিক্ষা গুলো না নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় এনে ফলাফল প্রকাশ করা হোক।

বিকল্প পদ্ধতিতে বিশেষ  বিবেচনায় ফলাফল ঘোষনার দাবীতে বাগেরহাটের এইচ এস সি  পরিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।  শনিবার( ১৭ আগষ্ট)  দুপুরে শহরের  কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিভিন্ন  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এইচ এস সি ২০২৪ ব্যাচের পরিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

পরীক্ষার্থীরা জানান, আন্দোলন চলাকালীন সময় বহু পরিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। কেউ কেউ নিহতও হয়েছেন। আহত অনেক শিক্ষার্থী এখনও চিকিৎসাধীণ রয়েছেন। এই অবস্থায় আমাদের মানসিক অবস্থা ভালো নেই। আন্দোলনের সময় পরিক্ষার রুটিন পরিবর্তন হওয়ায় এমনিতেই অনেক দেরি হয়ে গেছে। এখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও আমাদের পরীক্ষা নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে বাকি পরিক্ষা গুলো না নিয়ে বিশেষ বিবেচনায় এনে ফলাফল প্রকাশ করা হোক।

বাগেরহাট  সরকারি মহিলা কলেজের এইস এস সি পরিক্ষার্থী তামান্না আক্তার বলেন, আমাদের ভাই বোনেরা রাজপথে রক্তদিয়ে আন্দোলন  সংগ্রাম করেছে। তারা অনেকেই  অসুস্থ অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা এখন পরীক্ষার হলে বসার মতো পরিস্থিতিতে নাই। তাদের কি ভাবে রেজাল্ট দেওয়া হবে? আমাদের ও মন-মানসিকতা ভালো নাই পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারছি না ।  এখন বিকল্প পদ্ধতিতে ফলাফল দিয়ে আমাদের  স্নাতক পর্যায়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানাই।

সরকারি প্রফুল্ল চন্দ্র(পিসি) কলেজের এইস এস সি পরিক্ষার্থী শাহরিয়ার রায়হান নির্জন বলেন, ২০২৪ সালের পরিক্ষার্থীরা নানা করনে অনেক  পিছিয়ে আছি। তার উপর দেশের এই অবস্থায় খুবই শঙ্কিত আমরা। এই অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার চাপ না দিয়ে, বিকল্প কোন পদ্ধতিতে ফলাফল দিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোহাম্মদ আজিজ করিম বলেন, আসলে সার্বিকভাবে এখন আমরা পরীক্ষা দেওয়ার মত অবস্থায় নেই। যেকোনভাবে বিকল্প ব্যবস্থায় আমাদের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ দেওয়া হোক।আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষার অবশিষ্ট বিষয়গুলোর পরীক্ষা গ্রহনের জন্য রুটিন দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। রুটিন অনুযায়ী ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। পরীক্ষার খবরে আন্দোলন শুরু করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।