ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে দুই স্থান থেকে গৃহবধু আনু বেগম (৩৫) ও বৃদ্ধা সালেহা খাতুন (৬৮) নামে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গৃহবধু আনু বেগমের স্বামী একরামুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

আনু বেগম উপজেলার ৪ নং বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের খেরবাড়ী গ্রামের মৃত বসির উদ্দীনের মেয়ে ও একই গ্রামের একরামুল হকের স্ত্রী। অন্যদিকে বৃদ্ধা সালেহা খাতুন (৬৮) উপজেলার ২ নং চাড়োল ইউনিয়নের মধ্য চাড়োল কাচাহারিপাড়া এলাকার বীর মৃত মুক্তিযোদ্ধা লেদু বকসের স্ত্রী।

বুধবার সকালে ৪ নং বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের খেরবাড়ী গ্রামে বাড়ী থেকে দেড় কিলোমিটার দুরে বাদামখেত থেকে আনু বেগমের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়নরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধু আনুর মরদেহ উদ্ধার করে।

এ সময় গৃহবধুর পরিবারের লোকজন স্বামী ও শুশুড়বাড়ীর লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ তুললে পুলিশ আনু বেগমের স্বামী একরামুল হককে আটক করে। আটক একরামুল খেরবাড়ী গ্রামের ইয়াজদ্দিনের ছেলে।

গৃহববু আনুর ভাই রেসেবুলের অভিযোগ, প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে তার বোন একরামুলকে বিয়ে করেছেন ২৫ বছর হলো। কোনদিন শান্তিতে সংসার করতে পারেনি। স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ীর লোকজনের অত্যাচার ছিল নিত্য দিনের সঙ্গী। মঙ্গলবার রাতভর নির্যাতন করে হত্যার পর বাড়ী থেকে অদুরে ফেলে এসেছে বোনের মরদেহ। এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

এদিকে উপজেলার ২ নং চাড়োল ইউনিয়নের মধ্য চাড়োল কাচাহারিপাড়া এলাকায় নিজ শয়ন ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় বৃদ্ধা সালেহা খাতুন (৬৮)। পরে বাড়ীর লোকজন দরজা ভেঙ্গে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।

বৃদ্ধার স্বামী মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা লেদু বকস ও পরিবারের স্বজনরা দাবি করছেন, বৃদ্ধা সালেহা খাতুনের মানসিক সমস্যা রয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার জানান, গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গৃহবধুর ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রীয়াধীন। অন্যদিকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে পুলিশ কাজ করছে।