‎রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান, রাইদা পরিবহনের একটি বাসের চাপায় মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
‎ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় রাইদা পরিবহনের দুটি বাস আটক করে কলেজে নিয়ে আসে এবং সড়কে অবস্থান নেন। পরবর্তীতে আরও কিছু বাস আটক করে শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দোষী সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
‎জানা যায়, বৃহস্পতিবার(২৬জুন) বিকেলে শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান ধোলাইপাড় এলাকা থেকে পোস্তগোলা হয়ে নদীর ওপারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন। গন্তব্যে পৌঁছে ভাড়া দেওয়ার সময় কনটাক্টর বৈধ ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ দাবি করলে তা নিয়ে তর্ক হয়। একপর্যায়ে বাস থেকে নামার সময় জাহিদ এক পা নামাতেই চালক ইচ্ছাকৃতভাবে বাসটি টেনে দেন, এতে তিনি ছিটকে পড়ে যান। পরে তিনি উঠে বাসে হাত রাখলে চালক কাঁচের গ্লাস দিয়ে আঘাত করেন, এতে তার হাত গুরুতর জখম হয়। এসময় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
‎আহত শিক্ষার্থী জাহিদ বলেন, “ধোলাইপাড় থেকে টিউশনি করতে যাচ্ছিলাম। বৈধ ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ দাবি করায় কনটাক্টরের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। বাস থেকে নামার সময় চালক ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে আমি হাত রাখলে চালক কাঁচের গ্লাস দিয়ে আমাকে আঘাত করেন।”
‎রাইদা পরিবহণের এক বাসচালক বলেন, “কোন বাসের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে জানি না। শুনেছি এক ছাত্রকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দিয়েছে হেল্পার। তাই ছাত্ররা বাসগুলো আটক করেছে।”
‎এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা রাইদা পরিবহনের মালিক সমিতির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আসতে চেয়েছেন। আমাদের দাবি হলো—আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে তারা যেন নিশ্চিত করে যে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না ঘটে।”