আজ বৃহস্পতিবার (০৬জুন) সকাল থেকে বিআরটিএ রাস্তা সংস্কার কাজে রাস্তা অবরোধ করে রাখায় উত্তরা উত্তর মেট্রোরেল স্বংলগ্ন এলাকা জুড়ে সৃষ্টি হয় বিশাল জ্যাম। যার ফলে সকাল থেকে মেট্রোরেল ব্যবহারকারী যাত্রীদের পরতে হয় চরম ভোগান্তিতে। তীব্র গরমে হাউজ বিল্ডিং থেকে দিয়াবাড়ি অভিমুখী যাত্রীরা ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা প্রায় ৩-৩.৫ ঘন্টা সময় ব্যায়েও পৌঁছুতে পারছেন না গন্তব্যস্থলে।
এছাড়াও অফিসের উদ্দেশ্যে বের হওয়া চাকুরীজীরা পৌঁছুতে পারেনি নির্দিষ্ট সময়ে, তার উপর সপ্তাহের শেষ দিন হওয়ায় চাকুরীজীদের পড়তে হয়েছে চরম বিপাকে। তাছাড়া উত্তরার দিয়াবাড়িতে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরো অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকায় এই রাস্তা ব্যবহার করে ক্লাসে যায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীরা কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত এই জ্যামের কবলে পড়ে নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে পৌঁছাতে ব্যার্থ হয় প্রচুর শিক্ষার্থী। ঢাকায় এতো এতো প্রকল্প এবং রাস্তা উন্নয়ন এ এতো এতো পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও যদি হরহামেশাই এমন যানজটে পড়তে হয় তবে এর দায়ভার কার।
প্রায়শই অবরোধ, ধর্মঘটসহ যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে রাস্তা বন্ধ করে রাখে পরিবহন মালিকদের একটা বড় অংশ এছাড়াও ঢাকার প্রধান প্রধান সড়কগুলোতে চলাচলের সময় আড়াআড়ি কিংবা যেখানে সেখানে অযথায় দাঁড় করিয়ে রাখে বাসগুলো যার ফলে রাস্তায় দেখা দেয় অসহনীয় যানজট। রাজধানী শহর হওয়ায় দেশের সবচেয়ে জনবহুল শহর হচ্ছে ঢাকা। যার বেশিরভাগই চাকরিজীবী, শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন পেশাজীবী যাদের সকাল শুরু হলেই বেড়িয়ে পড়তে হয় নির্দিষ্ট কর্মস্থল বা গন্তব্যস্থলে। কিন্তু এই চলাচলে তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়েছে যানজট। যদিও বর্তমানে ঢাকার যানজট নিরসনে সরকার কর্তৃক বিভিন্ন উদ্যোগ ও উন্নয়ন প্রকল্প হিসেবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু পরিবহন মালিকদের গোঁড়ামির ফলে এবং চালকদের অপেশাদারীতার জন্য যানজট মুক্ত হতে পারছে না রাজধানী শহর ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকাগুলো।