মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরেরবেলায় কাশিল ইউনিয়ন বিএনপির ব্যানারে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে বাসাইল ছাতা মসজিদ এলাকায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে তারা মিছিল নিয়ে বাসাইল বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় নেতাকর্মীরা বাঁধার মুখে সেখানেই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সেখানে নেতাকর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেওয়ায় উত্তপ্তের সৃষ্টি হয়। তবে যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তৎপর ছিল। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যদেরও দেখা গেছে।  

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সৈয়দ নিজামুল ইসলাম রুপম, কাশিল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কাশিল ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক আয়নাল জমাদার, তরিকুল ইসলাম টিপু, বিএনপি নেতা মানিক মোহাম্মদ তোহা প্রমুখ।

এসময় কাজী শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে টাকার বিনিময়ে সম্প্রতি কাশিল ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি দেওয়া হয়েছে। এটা পকেট কমিটি। যাকে ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি করা হয়েছে সেই রমজান মিয়া বিগত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ভিপি জোয়াহেরের জন্য ভোট চেয়েছে। অথচ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে যে সকল নেতাকর্মীরা কারাভোগসহ বিভিন্ন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সেই সকল নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে এই কমিটি দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কমিটি বাতিল করতে হবে। উক্ত কমিটি বাতিল করা না হলে এই কমিটি দ্বারা কাশিল ইউনিয়নে কোনো কার্যক্রম করতে দেওয়া হবে না। আমাদের এই প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সহ¯্রাধিক নেতাকর্মীরা এসেছিল। কিন্তু তাদেরকে পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে পুলিশ প্রশাসনের মাধ্যমে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন আল জাহাঙ্গীর বলেন, ‘একটি মহল শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে অশান্ত করতে চেয়েছিল। আমরা তাদের প্রতিহত করতে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছি। যে কোনো মূল্যে আগামী দিনে বাসাইলকে যারা অশান্ত করতে চায় আমরা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তাদেরকে প্রতিহত করবো।’  
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘সভা-সমাবেশের অনুমতি না নিয়ে তারা অনুষ্ঠান করার জন্য আসতেছিল। পরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমরা তাদেরকে বাঁধা দিয়েছি।’