পুলিশের হাতে গ্রেফতার বিএনপি নেতা ও পরিবহন শ্রমিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃতদের বিএনপি নেতা কর্মীদের রিমান্ড বাতিল ও পরিবহন শ্রমিকদের নি:শর্তে মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুরাদনগর উপজেলা পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ নবীনগর সড়কের সিএনজি স্টেশন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কোম্পানীগঞ্জ কুমিল্লা -সিলেট মহাসড়কে প্রদক্ষিণ শেষে সিএনজি স্টেশনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পরিবহন শ্রমিক এর নেতৃবৃন্দ। আগস্ট যে নেতাকর্মীরা মুরাদনগর পুলিশ স্টেশন কে আগলে রেখেছিল এবং পুলিশের নিরাপত্তা দিয়েছিল, আজ সেই পুলিশ তাদেরকে আটক ও হয়রানি করছে। আমাদের দেশ থেকে স্বৈরাচারী বিদায় হয়েছে, কিন্তু এখনো মুরাদনগর পুলিশের স্বৈরাচারী আচরণ বদলায়নি। আমরা অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটককৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। যদি তা না হয়, আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব। অন্যান্যর মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন, পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা মোহাম্মদ ওয়াসিম, কবির হোসেন সরকার, নায়েব আলী, আক্তার হোসেন,মো: সুমন,মো: ইব্রাহিম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক খাইরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত, ছাত্র আন্দোলনের নেতা ইমন, আরাফত, সবজি, প্রমূখ। মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের শতাধিক নেতাকর্মী সহ সহস্ত্রাধিক ড্রাইভার বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করে। উল্লেখত থাকে যে গত ২৪ শে মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে, মুরাদনগর উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ সিএনজি স্টেশনে, গাড়ির সিরিয়াল নিয়ে কেরানি ও শ্রমিকদের সাথে সমন্বয়কদের এক অংশের সাথে প্রথমে বাক- বিতান্ডা পরে, দস্তা- দস্তি রুপনেয়। পরে উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে, থানায় উভয় পক্ষের মাঝে একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে পরিবহন শ্রমিক ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও সমন্বয়করা বাদী হয়ে, প্রায় দুই শতাধিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। দুইটি মামলায় বিএনপি ও পরিবহন শ্রমিকদের ছয়-সাত জনকে আটক করে কারাগারে পাঠান পুলিশ। সাতই এপ্রিল ঘটনায় বিএনপি নেতা বিল্লাল হোসেনকে একদিনের রিমান্ডদেয় আদালত।