সূত্র জানায়- ৩ জুন ভোরে গর্জনিয়ার মরিচ্যাচর দিয়ে অবৈধ পন্তায় আসা মিয়ানমারের সিগারেট ও ইয়াবা পাচার হচ্ছিলো খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবির সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে৷ বিজিবির উপস্থিতি দেখে চোরাকারবারীরা তাঁদের উপর আক্রমন চালায়। তাঁদের দিকে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে চারটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে চোরাকারবারীরা। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নেজাম ডাকাত মারা যান। এবং ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি বিপুল সিগারেট ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে। যা বিজিবির পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় এবং ৪ জুন দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে নিহত নেজাম উদ্দীন ডাকাত কে এক নম্বর আসামি করে রামু থানায় এজেহারও দায়ের করা হয়। কিন্তু সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্র নিহত নেজাম ডাকাতের বাবা নুরুল বশরকে বাদি করে কক্সবাজার আদালতে একটি হত্যা মামলার আবেদন করিয়েছে৷ যে মামলায় আসামি করা হয়েছে টিটিএন ও আজকের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, দৈনিক আমাদের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার সরওয়ার জাহান, ১১ বিজিবির হাবিলদার মো: হুমায়ুন কবির ও সিপাহী মামুন হোসেনকে।

কক্সবাজারের রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের মরিচ্যাচর গ্রামে গেল ৩ জুন বিজিবি-চোরাকারবারির মধ্যে গুলাগুলির ঘটনায় নেজাম উদ্দীন ডাকাত নিহতের বিষয়ে দুজন সাংবাদিক ও ১১ বিজিবির দুজন সদস্যকে জড়িয়ে কক্সবাজার আদালত ১ (রামু) এ একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে ডাকাত নেজাম উদ্দীনের বাবা আবুল বশর। আবুল বশরও কক্সবাজারের আলোচিত তানভীর হত্যা মামলার আসামি। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে কক্সবাজার, রামু ও নাইক্ষ্যংছড়ির কর্মরত সাংবাদিকেরা৷ ওই মিথ্যা মামলায় কক্সবাজারে খুন হওয়া মেধাবী ছাত্র তানভীরের তিন ভাই ও খুরুশকুলের স্থানীয় একজনসহ সর্বমোট ৮জনকে আসামি করা হয়েছে। 

সূত্র জানায়- ৩ জুন ভোরে গর্জনিয়ার মরিচ্যাচর দিয়ে অবৈধ পন্তায় আসা মিয়ানমারের সিগারেট ও ইয়াবা পাচার হচ্ছিলো খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ১১ বিজিবির সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করে৷ বিজিবির উপস্থিতি দেখে চোরাকারবারীরা তাঁদের উপর আক্রমন চালায়। তাঁদের দিকে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে চারটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে চোরাকারবারীরা। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে নেজাম ডাকাত মারা যান। এবং ঘটনাস্থল থেকে বিজিবি বিপুল সিগারেট ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করে। যা বিজিবির পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় এবং ৪ জুন দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে নিহত নেজাম উদ্দীন ডাকাত কে এক নম্বর আসামি করে রামু থানায় এজেহারও দায়ের করা হয়। কিন্তু সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্র নিহত নেজাম ডাকাতের বাবা নুরুল বশরকে বাদি করে কক্সবাজার আদালতে একটি হত্যা মামলার আবেদন করিয়েছে৷ যে মামলায় আসামি করা হয়েছে টিটিএন ও আজকের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী, দৈনিক আমাদের কক্সবাজারের স্টাফ রিপোর্টার সরওয়ার জাহান, ১১ বিজিবির হাবিলদার মো: হুমায়ুন কবির ও সিপাহী মামুন হোসেনকে। 

সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন- বিজিবি আর চোরাকারবারীদের মধ্যে ভোরে ঘটনা হয়েছে শুনে তিনি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে টিটিএনে সংবাদ প্রচার করেছেন৷ তিন দিন পর শুনতে পান তিনি এ ঘটনায় আসামি। এটি নিয়ে সর্বত্র হাস্যরস তৈরী হয়েছে। 

সাংবাদিক সরওয়ার জাহান জানিয়েছেন- কিছুদিন আগে তাঁর এক ফুফাতো ভাইকে রামুর গর্জনিয়ার আলোচিত ডাকাত শাহীনের নেতৃত্বে খুন করা হয়। এ ঘটনায় রামু থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় ডাকাত শাহীন এক নম্বর আসামি। এই ক্ষোভ থেকে তাকে (সরওয়ারকে) নেজামের নিহতের ঘটনায় নাটকিয় মামলায় এক নম্বর আসামি করেছে। কারণ ডাকাত নেজাম উদ্দীন ছিলো ডাকাত শাহীনের সেকেন্ড ইন কমান্ড। 

এদিকে কক্সবাজার আদালতে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাটি বিচার বিশ্লেষণ করে খারিজ করে দেওয়ার জোর আবেদন জানিয়েছেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকেরা৷ 

এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো: মিজানুর রহমান জানিয়েছেন- পুলিশ অধিকতর তদন্ত ছাড়া কোন ব্যবস্থা নেন না। হত্যার মত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় বিনা কারণে কেউ হয়রানি হওয়ার সুযোগ নেই৷