এ দুই খাতে ভালো দিনের পরও সূচক কিছুটা কমেছে। টানা সাত কর্মদিবসে ৩০৯ পয়েন্ট বাড়ার পর প্রথমবারের মতো ৮ পয়েন্ট কমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। লেনদেন আরও একটু এগিয়ে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে।

পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর আলোচনার মধ্যে সাধারণ বিমা খাতে ব্যাপক উত্থান দেখা গেল, ২০২১ সালে লকডাউন পরিস্থিতিতে যে চিত্র দেখা দিয়েছিল। সাধারণ বিমা খাতে কেবল সবগুলো কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে এমন নয়, সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া ২০টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টিই ছিল এই খাতের। লেনদেন হওয়া ৩৯টি কোম্পানির মধ্যে ২টির দর বেড়েছে ১০ শতাংশ, ১০টির দর বেড়েছে ৯ শতাংশের বেশি, ৭টির দর বেড়েছে ৮ শতাংশের বেশি, ৫টির দর বেড়েছে ৭ শতাংশের বেশি।


এ ছাড়া ৫টির দর বেড়েছে ৬ শতাংশের বেশি, ৫টির দর বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি, ৩টির দর বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। একটির দর বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি, একটির ২ শতাংশের বেশি। সাধারণ বিমায় এই চিত্রের ছোঁয়া অবশ্য জীবন বিমায় দেখা যায়নি। এ খাতের ১৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে সাতটির, কমেছে পাঁচটির আর অপরিবর্তিত ছিল একটির দর। সকালে দরপতন হলেও লেনদেনের শেষ বেলায় ব্যাংকেও কিছুটা সুবাতাশ দেখা যায়। এ খাতের ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮টির, অপরিবর্তিত থাকে আটটির আর দর কমে সাতটির দর। তবে অন্যান্য দিনের মতোই ব্যাংক খাতে দর বৃদ্ধি ও কমার হার খুব একটা বেশি দেখা যায়নি।


এ খাতে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ দর বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বাড়ে এনআরবিসির। এবি ব্যাংকের দর বাড়ে ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ২ দশমিক ৮০ শতাংশ, এনবিএলের ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ২ দশমিক ১০ শতাংশ, সাউথ বাংলার ১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ দুই খাতে ভালো দিনের পরও সূচক কিছুটা কমেছে। টানা সাত কর্মদিবসে ৩০৯ পয়েন্ট বাড়ার পর প্রথমবারের মতো ৮ পয়েন্ট কমেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স। লেনদেন আরও একটু এগিয়ে হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি পৌঁছেছে। দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ৯৭৪ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা, যা আগের দিন ছিল ৯৫০ কোটি ১০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এই লেনদেন গত ১৬ মের পর সর্বোচ্চ, যেদিন হাতবদল হয় ১ হাজার ২৪ কোটি ১৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা।