দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী অফিসার শুধু একজন সরকারি আমলাই নন। তিনি একজন জনদরদী সমাজ সেবক। গরীব অসহায় দরিদ্র মানুষের ভরসার আশ্রয়স্থল। তিনি প্রতি নিয়ত এলাকার মানুষের জন্য সরকারি দায়িত্বের বাইরে এসে কিছু না কিছু একটা করে যাচ্ছেন। তাতে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের কাছে অতি আপনজন হয়ে উঠেছেন।

সরকরি আমলাদের জন্য প্রশংসা করা, কারো কারো চোখে বেমানান মনে হলেও প্রকৃত অর্থে কাজের ধারাবাহিক গতি যখন অস্বাভাবিকভাবে ভালো হয় সাধারণ মানুষের ও অসহায় নিপীড়িত মানুষের পক্ষে হয়। সেবার মান বাড়ে, ভোগান্তি কমে, তখনতো অকপটে বলাই যেতে পারে তিনি বিপদগ্রস্ত মানুষের আশ্রয়স্থল।

চরফ্যাশন উপজেলার অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন চর নলুয়ার  ৯ নং ওয়ার্ডে মো: বশির ও কুলসুম বেগমের ৩ বছর বয়সী শিশু কন্যা  লিজার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

চরফ্যাশন উপজেলার মানবিক নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি বুধবার দুপুরে এ সহায়তা দেন।। লিজা দিনমজুর বাবা বশির। মা কুলসুম বেগমের ৫ সন্তানের মধ্যে সে ৪ নাম্বার।

সহায়তা প্রদানের সময় চরফ্যাশন উপজেলার সমাজসেবা কর্মকর্তা মামুন হোসেন, চরফ্যাশন প্রেসক্লাবের র্বাতা সম্পাদক দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সাংবাদিক শাহাবুদ্দিন সিকদার প্রমুখ উপাস্থিত ছিলেন। সহায়তা নিতে আসা লিজা (৩) ও মা কুলসুম বেগমের বলেন, আমার ৫ সন্তানের মধ্যে সে ৪ নাম্বার লিজা (৩)। সে জন্মের পর থেকে পেটে ফুলা রোগ নিয়ে ভুগতেছে। এক বছর পূর্বে চরফ্যাশন হাসপাতালে  ডাক্তার দেখানো হয়। ডাক্তার জানান, শিশুটির পেটে টিউমার হয়েছে। ঢাকায় নিয়ে যাই। ঢাকায় নিলে সেখানকার ডাক্তাররা বলেন অপারেশন করতে। টাকার অভাবে চিকিসা করতে পারিনি। মেয়েকে নিয়ে চেয়ে-চিন্তে খাই। ভিক্ষা করে সংসার চালাই। স্বামী গ্রামে একদিন কাজ পায় তো আর একদিন পায়না । মেয়ের চিকিসা করবে কি দিয়ে। শুনেছি ইউএনও সাহেব অসহায় লোকদের সহায়তা করেন। তাই চিকিৎসার আর্থিক সহায়তা পেতে অধ্যক্ষ নজরুল নগর ইউনিয়ন লোকজন ও সংবাদকমীদের সহায়তা নিয়ে এখানে আইছি।
তিনি নির্বাহী কর্মকর্তার প্রশংসা করে বলেন, শত বছর বেঁচে থাকুক মানবিকতার মহৎ মানুষ ইউএনও ম্যাডাম। লিজার শারীরিক অবস্থা ও অসুখের বিষয়টি স্থানীয় একজন সংবাদ কর্মীর পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে ইউএনও স্যার চিকিৎসার দায়িত্ব নেন ।

চরফ্যাশন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি। তিনি একজন মানবিক মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময় হতদরিদ্র-অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছেন বহুবার।

ইউএনও রাসনা শারমিন মিথি বলেন, লিজার বিষয়টি একজন সংবাদ কর্মীর পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে অতি দ্রততার সাথে লিজার জন্য সমাজসেবা থেকে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করেন তিনি। উপকারভোগীদের দৌড়গোড়ায় যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সেবা পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। লিজার পেটের অবস্থা খুবই আশঙ্কা জনক। চিকিৎসা যতই দেড়ি হবে ততই পেট বড় হতে থাকে। তাই দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন।তাই দ্রুততার সাথে তাকে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। দিনমজুর বাবা বশির, মা কুলসুম বেগমের সন্তান লিজা (৩) এর মতো সেবামূলক কাজ চলমান আছে,থাকবে।