রাজশাহী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত উত্তরবঙ্গের প্রথম বেসরকারি উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের এক ছাত্রী সম্প্রতি অমানবিক একটি ঘটনার শিকার হয়েছেন। পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে তিনি অটোরিকশায় বসেছিলেন। সেখানে, সামনের সিটে বসা এক পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তি অশ্লীল আচরণ শুরু করেন। প্রথমে কিছুটা অস্বস্তি হলেও, পরে তিনি নিজের পুরুষাঙ্গ বারবার প্রদর্শন করতে শুরু করেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সেই ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরো ঘটনাটি তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন, “আজ ১১ মার্চ (মঙ্গলবার) পরীক্ষা শেষে ইফতারি কিনে বাসায় আসার পথে বর্ণালীর মোড়ে এই জানোয়ারের বাচ্চা আমার সামনে বসে। বড় একটি বস্তা হাতে ছিল, যা তার পায়ে টাচ করছে। কিছু সময় পর পা সরাতে বললেও পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় এবং সে গোপনাঙ্গ নিয়ে অশোভন আচরণ শুরু করে। যখন সে বুঝতে পারে, আমি ভিডিও করছি, তখনই হাত সরিয়ে নেয়।” ছাত্রীর এই পোস্ট মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। তার ক্ষোভ ও দুঃখ-দুর্দশা যেন প্রতিটি নারীকে অনুপ্রাণিত করছে, যারা আজও সমাজে এই ধরনের সহিংসতার শিকার হন। ভিডিওটি দেখে নেটিজেনরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে হেনস্তাকারী ব্যক্তির গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার মানুষ এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং তার বিচার দাবি করেছে। গরমের মাসে রোজা রেখে পরীক্ষা দিয়ে, এমন অমানবিক আচরণে বিরক্ত হয়ে ওই ছাত্রী আরও লেখেন, “রোজা-রমজানেও এদের হেদায়েত হয় না। সারাদিন রোজা রেখে যখন এদের মতো আচরণ সহ্য করতে হয়, তখন আর কিছু বলার থাকে না!” বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর সাহসিকতা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ঘটনাটি শেয়ার করার মাধ্যমে সবাইকে এই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে বাধ্য করেছে। এখন, সবাই একসাথে ঐ ব্যক্তির গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি করছেন, যেন অন্য কেউ কখনও এমন ঘৃণিত কাজ করতে সাহস না পায়।