অ্যাপলের স্মার্টফোন সরবরাহ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হওয়ার কারণে আইফোন বিক্রির এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইডিসির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্রস্তুতকারীরা বাজারে শীর্ষস্থান দখল করতে প্রতিযোগিতা তীব্র করেছে।

অ্যাপলের স্মার্টফোন সরবরাহ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হওয়ার কারণে আইফোন বিক্রির এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান আইডিসির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে। অ্যান্ড্রয়েড ফোন প্রস্তুতকারীরা বাজারে শীর্ষস্থান দখল করতে প্রতিযোগিতা তীব্র করেছে।


বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জানুয়ারি–মার্চ—এই তিন মাসে বিশ্বে স্মার্টফোনের সরবরাহ ৭ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়ে ২৮ কোটি ৯৪ লাখে পৌঁছেছে। এর মধ্যে স্যামসাং একাই বাজারের ২০ দশমিক ৮ শতাংশ দখল করেছে। ফলে বাজারে এত দিন অ্যাপলের যে আধিপত্য ছিল, তা ভেঙে দিয়ে কোরিয়ার কোম্পানিটি শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে।


গত ডিসেম্বরেই অ্যাপল স্যামসাংকে হারিয়ে বিশ্বের স্মার্টফোন প্রস্তুতকারীর তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছিল। কিন্তু এরপরই আইফোনের বিক্রি কমে যায়। অ্যাপলের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। কোম্পানিটির বাজার শেয়ার ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। গত প্রান্তিকে বিশ্বে হুয়াওয়ের মতো চীনা ব্র্যান্ডের ফোনের বিক্রি অনেক বেড়েছে।

শাওমি চীনের সবচেয়ে বিক্রি হওয়া ফোনগুলোর একটি। এটি এখন বিশ্বে তৃতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া ফোন। শাওমির বাজার শেয়ার ১৪ দশমিক ১ শতাংশ।

এ বছরের শুরুতে স্যামসাং তাদের নতুন স্মার্টফোন বাজারে ছেড়েছে। গ্যালাক্সি এস২৪ সিরিজের এই ফোনগুলো সারা বিশ্বে সরবরাহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৬ কোটি এস২৪ সিরিজের ফোন শুধু এই তিন মাসেই বাজারে পাঠানো হয়েছে।

গত বছর বাজারে ছাড়ার পর প্রথম তিন সপ্তাহে গ্যালাক্সি এস২৩ সিরিজের ফোন যত বিক্রি হয়েছিল, তার তুলনায় গ্যালাক্সি এস২৪ সিরিজের ফোনের বিক্রি বিশ্বজুড়ে ৮ শতাংশ বেড়েছে। কাউন্টারপয়েন্টের পরিসংখ্যানে এটা দেখা গেছে।

আইডিসির তথ্য জানাচ্ছে, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে অ্যাপল ৫ কোটি আইফোন সরবরাহ করেছে। গত বছরের একই সময়ে অ্যাপল ৫ কোটি ৫৪ লাখ ফোন বিক্রির জন্য বাজারে পাঠিয়েছিল।


গত বছরের শেষ প্রান্তিকে ঠিক এক বছরের আগের তুলনায় চীনে অ্যাপল স্মার্টফোনের সরবরাহ ২ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। আইফোন বিক্রি কমে যাওয়ায় এটা পরিষ্কার যে অ্যাপল তার তৃতীয় বৃহত্তম বাজারে কতটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।


চীনের বেশ কিছু কোম্পানি ও সরকারি সংস্থা কর্মীদের অ্যাপল ডিভাইস ব্যবহার সীমিত করেছে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকার চীনা অ্যাপ ব্যবহারে বিধিনিষেধ আরোপ করার পর চীন অনেকটা একই রকম পদক্ষেপ নেয়।

আগামী জুনে ক্যালিফোর্নিয়ার কুপারটিনোভিত্তিক কোম্পানি অ্যাপল তাদের ওয়ার্ল্ডওয়াইড ডেভেলপারস কনফারেন্সের আয়োজন করতে যাচ্ছে। সেখানে অ্যাপল দেখাবে তারা সফটওয়্যার উন্নয়নে কতটা এগিয়েছে।


এসব সফটওয়্যার আইফোন, আইপ্যাড এবং অন্যান্য অ্যাপল ডিভাইস চালাতে ব্যবহার করা হয়।অ্যাপল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে কতটা এগিয়েছে, সেদিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছেন বিনিয়োগকারীরা। তাদের ডিভাইসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কতটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সে ব্যাপার এখন পর্যন্ত অ্যাপল খুবই কম তথ্য দিয়েছে। চলতি বছরের গোড়ার দিকে মাইক্রোসফটের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানির তকমাও হারিয়েছে অ্যাপল।