আগামী ১২ই জুন অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন । ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করেছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ১৬ মে, বাছাই ১৮ মে ও প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ মে। তফসিল ঘোষণার পরপরই সবার মুখে মুখে একটাই প্রশ্ন কে হচ্ছেন পরবর্বতী নগর পিতা? কে পাবেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন? বিরোধী দল বিএনপি বিহীন এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে অনেকটাই নির্ভার ভেবে এবার অনেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে সামিল হয়েছিলেন। বর্তমান মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিগত পাঁচ বছরে বরিশাল শহরের প্রত্যাশিত উন্নয়নে তিনি সাফল্য দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে কোন উন্নয়ন বরাদ্দ আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি গত নির্বাচনে বরিশাল শহরকে সিঙ্গাপুরের মত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে তেমন কিছুই করে দেখাতে পারেন নি । পাশাপাশি প্রশাসনের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে তিনি আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিলেন। ত্রিশটি ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে পারেন নি। জনগণের মধ্যে তার বিচরণের ক্ষেত্র সীমিত ছিল, মানুষকে অবমূল্যায়ন, তার সাথে দেখা করার ক্ষেত্রে ঘন্টার পর ঘন্টা বসিয়ে রাখা, কতিপয় চাটুকার দ্বারা নিজকে খোলসবদ্ধ করে রাখা, প্রবীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার এবং কথায় কথায় পারিবারিক রাজনীতির উদাহরণ তার মনোনয়ন প্রাপ্তিতে বাধার সৃষ্টি করেছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। বরিশালবাসীকে তাই প্রত্যাশিত উন্নয়নের অংশীদার করতে এবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আপন ফুপাত ভাই, সাবেক মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের ছোট ছেলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত কে মনোয়ন দিয়েছে ।
পঁচাত্তরের ১৫ই আগষ্টের নৃশংশ ঘটনায় আহত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়া এই নেতা বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর আপন চাচা এবং আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর আপন ছোট ভাই। এতদিন বরিশালের রাজনীতির অন্তরালে থাকলেও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান এবং ব্যবসা সফল খোকন সেরনিয়াবাত বরিশালের রাজনীতির আদ্যপান্ত তিনি জানেন বলে জানান। তিনি বরিশাল বাসীর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তার বাবা আবদুর রব সেরনিয়াবাতের আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করবেন। তিনি বলেন আমার জীবনে কিছুই চাওয়ার নেই। তাই নেত্রী আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তার পুরোপুরি পালন করব ইনশাআল্লাহ। বরিশাল বাসীকে সাথে নিয়ে আধুনিক ও স্মার্ট বরিশাল গড়তে এবং নগর বাসীকে অপরাজনীতি ও প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে মুক্ত রাখতে কাজ করবেন বলে জানান।