ঈদের আগে বেতন-বোনাসের দাবিতে রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন দৈনিক হাজিরাভুক্ত ও মাস্টাররোল কর্মচারীরা

ঈদের আগে বেতন-বোনাসের দাবিতে রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন দৈনিক হাজিরাভুক্ত ও মাস্টাররোল কর্মচারীরা। প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় সেবাগ্রহীতারা নগরভবনে ঢুকতে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালে নগরভবনে প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবেশ করার পরপরই ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা প্রধান ফটক বন্ধ করে আন্দোলন শুরু করেন। বেতন বোনাসের বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেও কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পরে বেলা সোয়া ১১ টার দিকে অফিস থেকে চলে যান রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শহিদুল ইসলাম এনডিসি। 
এরপর বেলা ১২ টার দিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে কর্মচারীদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু দাবি আদায়ে অনড় কর্মচারীরা কাজে যোগ না দিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকেন। এসময় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পূণরায় নিজ কক্ষে ফিরে যান।
কর্মচারীরা জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৩ তারিখের আগে বেতন বোনাস দেওয়ার কথা থাকলেও এ ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেন নি। এ কারণে সকাল থেকে সব ধরনের সেবা বন্ধ করে নগর ভবনে বিক্ষোভ করেন তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন কর্মচারীরা।
এদিকে হঠাৎ করে কর্মচারীদের এমন আন্দোলন দুর্ভোগে পড়েছেন নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সেবা নিতে আসা মানুষজন। কেউ কেউ নগরভবনে প্রবেশ করতে পারলেও কোন সেবা পাননি। আবার অনেকেই প্রবেশ করতেই পারেনি।
আন্দোলনকারীদের চাপে দুপুর পৌনে তিনটায় প্রধান নির্বাহীর কক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম শান্ত।
তিনি বলেন,আমরা বেতন রেডি করছি কিন্তু বোনাসটা কোন এটা কারণে আটকে ছিল কিন্তু কিছুক্ষণ আগে সেটাও পাশ হয়েছে।বর্তমানে সমস্যার সমাধান হয়েছে। 
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতেমা বলেন, বেতন বোনাস নিয়ে যে সমস্যা তৈরী হয়েছে, তা সমাধানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। কর্মচারীদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেছি।