দেশের বৃহত্তম স্থল বন্দর বেনাপোল । ভারত থেকে দেশের সিংহভাগ পণ্য এ পথেই আমদানি হয়ে থাকে। তেমনি এদেশেরও অনেক পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। এছাড়া কোলকাতা শহর বেনাপোল থেকে সহজ হওয়ায় ভারতে ভ্রমণ, চিকিৎসা ও ব্যবসা বানিজ্যের কাজ এর জন্য পাসপোর্ট যাত্রীরা এ পথে যাতায়াত করে থাকে।

কিন্ত এত বড় একটি স্থল বন্দর এবং দেশের প্রথম গ্রেডের পৌর সভা বেনাপোল হওয়া সত্বেও অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন থাকায় দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে ভাবমুর্তি নষ্ট হচ্ছে বেনাপোলের। সামান্য বৃষ্টি হয়ে রাস্তার পাশে জমে থাকে পানি। সেখান থেকে মশা মছির জন্ম হয়ে খাদ্যদ্রব্যের দোকানে গিয়ে খাদ্যের উপর গিয়ে বসে। এছাড়া এসব মশামাছির জীবানুর কারনে কলেরা ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়ার প্রার্দুভাব ছড়াচ্ছে মানুষের মধ্যে।

রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার মধ্যে পানি জমে থাকায় ভারত আসা যাওয়া যাত্রীরা ও মশার কামড়ে অস্থির। কারন রাত ৩টা বাজলে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে বেনাপোল আসে বিভিন্ন পরিবহন। যাত্রীরা বাস থেকে নেমে বিভিন্ন চায়ের দোকানে অথবা বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাচেঞ্জার টার্মিনালের সামনে সাড়ে ৬ টায় ইমিগ্রেশনে প্রবেশের অপেক্ষায় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। আর এসময় মশা মাছির উপদ্রবে অতিষ্ট হয়ে উঠে যাত্রিরা। এদিকে প্রথম শ্রেনীর পৌরসভার পক্ষ থেকে বা স্থল বন্দর এর পক্ষ থেকেও মশা মাছির জন্য কোন স্প্রে করাও হচ্ছে না। আর এর কারনে বদনাম হচ্ছে এই বন্দরের। অথচ সরকার এই বন্দর থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে থাকে। আবার সু-রক্ষার জন্য স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষও প্রতিটি যাত্রীর নিকট থেকে নিচ্ছে ৫৭.২৬ টাকা। খুচরা না থাকার দোহাই দিয়ে প্রতিটি যাত্রীর নিকট থেকে নিচ্ছে ৬০ টাকা।

যাত্রী ছাড়াও বর্ষা মৌসুমে পৌর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে মশা মাছির উপদ্রবে স্থানীয়রাও আছে অসুবিধার মধ্যে। কারন মশার কামড়ে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, জিকা, চিকুনগুনিয়া,পীতজ্বর এবং ফাইলেরিয়ার মতো মারাত্নক রোগ ছাড়াতে পারে। এই রোগগুলো জ্বর, মাথা ব্যাথা ও শরীরে ব্যাথার মতো উপসর্গ সৃষ্টি হয়েছে ইতিমধ্যে অনেকের । এতে জীবনহানির কারন ও হতে পারে বলে স্থানীয়রা মন্তব্য করেন।

আবার অনেকের মশার কামড়ে ত্বকে চুলকানি লালচে ভাব বা অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়াও দেখা দিয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী অনিমা বাড়ৈ বলেন রাত ৪ টার সময় পরিবহন গাড়ি থেকে নেমে দাড়িয়ে আছি। প্রচুর মশায় কামড়াচ্ছে। মনে হয় এ্যালার্জিও মশার কামড়ে বেড়ে গেছে।

এদিকে বেনাপোলের স্থায়ী বাসিন্দা আল-আমিন বলেন ,স্প্রে, কয়েল এবং অ্যারোসল থেকে নির্গত ধোয়ায় শ্বাসকষ্ট হাপানি ও ব্রঙ্কাইটিসের সমস্যা বাড়াতে পারে। অনেকের ক্ষেত্রে মাথা ব্যথা বা চোখ জ্বালা করার মতো সমস্যাও দেখা দেয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বেনাপোল বাজারের ডাক্তার  আব্দুর রাজ্জাক বলেন মশা এমন একটি প্রানি যেটা পানিতে জন্মায় এবং মাছি এমন একটি প্রানী যেটা সমতল ভুমিতে জন্মায়। মশার কামড়ে মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়া রোগ যা  ডেঙ্গু জ্বর । এই রোগের সঠিক সময়ে চিকিৎসা না নিলে মানুষ মারা যায়। এবং মাছি খাবার নষ্ট করে দেয় আর মাছ গোস্ত ও বিভিন্ন ধরনের পচে যাওয়া জিনিসে যায় আর পরিবেশ নষ্ট করে।