অপহরনের দুই দিন পর কথিত প্রেমিক প্রেমিকা বেনাপোল পোর্ট থানায় স্ব -ইচ্ছায় ধরা দিয়ে এখন জেল হাজতে। বুধবার বেলা সাড়ে ৯ টার সময় তারা বেনাপোল পোর্ট থানায় আসে এবং পুলিশের কাছে তারা স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আত্নসমার্পন করে।

গত ৮ সেপ্টেম্বর কাগমারী কিন্ডারগার্টেন এর সামনে থেকে স্কুল ছুটি হওয়ার পর সুমন হোসেন (২২) নামে এক প্রেমিক  তার বন্ধুদের সহযোগিতায়  জাকিয়া (১৪)  নামে  ৭ম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে অপহরন করে প্রাইভেড কারে তুলে নিয়ে যায় । এই ঘটনার পর পরই ভিকটিম জাকিয়ার মা শিখা বাদি হয়ে বেনাপোল থানায় অপহরন মামলা করেন।

আসামি সুমন  বেনাপোল পোর্ট থানার  দিঘিরপাড় গ্রামের সেলিমের ছেলে এবং ভিকটিম জাকিয়া একই থানার কাগমারি গ্রামের জাহিদ এর মেয়ে।

জাকিয়ার মা শিখা খাতুন অভিযোগে বলেন, তার মেয়ে স্কুল ছুটির পর বাড়িতে তার সাথে যাওয়ার সময় সুমন  তার বন্ধুদের নিয়ে স্কুলের সামনে থেকে মেয়েকে অপহরন করে। এরপর সে বাদি হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

এদিকে  জাকিয়া থানায় শিকার করে যে সে অপহরন হয়নি। সেলিম তার স্বামী । তার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। সে নিজ ইচ্ছায় স্কুল ছুটির পর তার সাথে চলে গিযেছে। এর আগেও তার সাথে আমি একবার গিয়েছিলাম। কিন্তু আমার বাবা মা মেনে না নেওয়ায় আমি আবারও যেতে বাধ্য হয়েছি।  আমার বয়স যেহেতু কম আমি সুমন এর সাথে না থাকতে পারলে বাবা মায়ের সাথে ও থাকব না। পুলিশ আইনগত ভাবে যা করবে তাতে আমি রাজি।

বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি মো: রাসেল মিয়া বলেন,  আসামি সেলিমকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং ভুক্তভোগি জাকিয়াকে নিরাপদ হেফাজতে রাখার জন্য বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভিকটিম এর বয়স ১৮ বছরের নীচে হওয়ায় সে তার বাবা মায়ের সাথে না গিয়ে নিরাপদ হেফাজতে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করে।