নেত্রকোনা সদর উপজেলার পূর্ব ফাদুলিয়া গ্রামে খোরশেদ আলম খানের বাড়ীতে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার (১০ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে অগ্নি সংযোগে ঘটনায় তার গোচালা ঘর (গাবাদি পশুর খড় রাখার ঘর) ও এই স্থানের কাছাকাছি ধান কাটা হারভেস্টার মেশিনের চাকায় লাগে আগুন। এতে প্রায় লক্ষাধিক টাকারও অধিক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কেউ বা কাহারা অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন শনাক্ত করতে পারেনি। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শুক্রবার খোরশেদ আলম খানের ছেলে ও তাতী দলের কর্মী রাজু নিজ বাড়িতে ইফতারের আয়োজন করেছিলেন। সেই ইফাতার পার্টিতে ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি রেনু মিয়াসহ নেতাকর্মীদের করেছিলেন নিমন্ত্রণ। ইফতারের আগে মৌগাতি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তার নেতৃত্বে অনেক সংখ্যক লোকজন এসে রাজুকে যুবলীগের ট্যাগ দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়। রাজুর বাড়ি ঘরে আগুন দে শ্লোগান দিতে দিতে তারা স্থান ত্যাগ করে চলে যান। পরেরদিন শনিবার ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে দায়ের করা একটি মামলায় রাজুকে আসামি করে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। ভুক্তভোগীর পরিবারের আরো দাবি, রাজু কখনো আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল না। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট। বিএনপির দলীয় অফিসে কে বা কাহার ভাঙচুর করেছে তা জানা নেই। এই ভাঙচুরে দায়ভার রাজু পরিবারে সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনেকে মামলায় ফাঁসানোর পাঁয়তারার করছে। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা তাতী দলের সদস্য সচিব আব্দুল মোতালেবসহ স্থানীয়রা রাজু মৌগাতি ইউনিয়ন তাতী দলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৌগাতি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহজাহানের সাহেবের সাক্ষাত ও বক্তব্যের জন্য মোবাইলে একাধিকবার মোবাইলে ফোন দেওয়ার সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি কাজী শাহনেওয়াজ রাজুকের গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।