ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর - চতলবিলের মাঝখানে একজন অজ্ঞাত পুরুষের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা সদরপুর বাইশ রশি থেকে এসে লাশ সনাক্ত করে রেদওয়ানের নিকটতম আত্মীয়-স্বজন ও রেদওয়ানের মা ।
লাশের পরিচয় মিলার পরে মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই র্যাব অভিযান চালিয়ে খুনি কে আলামত সহ গ্রেফতার করে। আসামি হত্যার কথা স্বীকা করে, ৪ দিন আগে নিখোঁজ হয়েছিলো রেদোয়ান, আজ পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় চাড়ালদিয়া এলাকায় র্যাবের অভিযানে অভিযুক্ত আসামী জহুরুল কে আলামতসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব । নিখোঁজের ৪ দিন পর রেদোয়ানের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। খবর পেয়ে সদরপুর থেকে ছুটে যান রেদোয়ানের আত্মীয়-স্বজন এবং রেদোয়ানের লাশ সনাক্ত করে। সদরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ২২ রশি গ্রামের প্রবাসী শেখ আবুবক্কর সোহেলের ছেলে শেখ রেদোয়ান। নিখোঁজের চার দিন পর রেদওয়ানের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। ভাঙ্গা থানার তাড়াইল এলাকার একটি ডোবা থেকে পুলিশ তার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
এর আগে এলাকাবাসী পচা ও দুর্গন্ধ পাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে খুঁজে রেদোয়ানের লা'শ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। তার শরীলে ইট বেধে পানিতে ডুবিয়ে দেয় হ'ত্যা'কা'রীরা। তার গলায়, পেটে, পায় কেটে রেদোয়ানকে হ'ত্যা করে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট (বুধবার) বিকেল ৫টার দিকে রেদোয়ান মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি আর ফিরে আসেননি। আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনদের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় রেদোয়ানের মা রাবেয়া বেগম সদরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন, যার নম্বর ৫৪৯।
নিহত রেদোয়ান গাজীপুরের একটি বেসরকারি কলেজে বি.এস.সি. বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে শেখ রেদোয়ানের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন যেহেতু হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেপ্তার হয়েছে, এবং হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তাই গ্রেপ্তার আসামির দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
অভিযুক্ত আসামির উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের চাড়ালদিয়া গ্রামের জহুরুল। সে ওই গ্রামের লুকমান মুন্সির ছেলে।
মরদেহ উদ্ধারের ৩ঘন্টা মধ্যে খুনি কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় এলাকাবাসীর র্যাব কে অভিনন্দন জানিয়েছে।