বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘যত দিন আমাদের মনে সাজিদ, সাঈদ, ওয়াসিম, মুগ্ধের রক্ত আছে, তত দিন ভারত আমাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে না। ভারতের সঙ্গে কথা হবে চোখে চোখ রেখে, আর সম্পর্ক হবে ন্যায্যতার ভিত্তিতে।আজ বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে সমুন্নত রেখে জাতীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে  "বিপ্লবত্তোর ছাত্র ঐক্য" শীর্ষক ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দের আলোচনা সভা তিনি এসব কথা বলেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক জোট  এই আলোচনা সভাটি আয়োজন করে।হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের আর কোনো ষড়যন্ত্র সফল হতে দেওয়া যাবে না। এবার যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে বাংলাদেশ আর কোনো দিন ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। জুলাই থেকে আজ পর্যন্ত আমরা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি। বিভিন্ন ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে প্রিন্সিপালসগত মতপার্থক্য থাকবে, এটা হলো গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু এই দেশের অখণ্ডতা, বিদেশি আগ্রাসন, সার্বভৌমত্বের—এসবের প্রশ্নে কোনো আপস চলবে না।আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আওয়ামী সরকার বছরের পর বছর আমাদের শাসন এবং শোষন করেছে। তারা দিল্লিকে কেবলা বানিয়ে ঢাকাকে শাসন করেছে। আপনারা যারা ভারতের পলিসি মেকার আছেন, মালদ্বীপকে বশ্যতা স্বীকার করাতে পারেননি, শ্রীলঙ্কাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। নেপালের কাছে বশ্যতা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে, ভুটান আর মায়ানমারের সঙ্গে আপনাদের কোন্দল। পার্শ্ববর্তী কোনো দেশের সঙ্গে আপনাদের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক নেইএ সময় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যত দিন ঐক্য আছে, তত দিন আমাদের মধ্যে কেউ বিভেদ তৈরি করতে পারবে না। আমাদের সামনে অনেক রাস্তা অতিক্রম করতে হবে, সেই পথ অনেক বেশি কণ্টকাকীর্ণ। আমাদের মধ্যে ঐক্য রাখতে হবে। আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য যেন পরমতসহিষ্ণুতার পর্যায়ে থাকে, আওয়ামী লীগের মতো দমন–নিপীড়নের পর্যায়ে যেন না যায়।অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, ছাত্র অধিকার পরিষদের বিন ইয়ামিন মোল্লা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এবং অন্যান্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।