গতকাল আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিধি মোতাবেক তিনিই একমাত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার দাবিদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর চাকুরী জনিত কারণে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের পদ শূন্য হয়।

গতকাল আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিধি মোতাবেক তিনিই একমাত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পাওয়ার দাবিদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৬ ডিসেম্বর চাকুরী জনিত কারণে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের পদ শূন্য হয়। তৎকালীন বিধিমালা অনুযায়ী সহকারী প্রধান শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও সভাপতি সাবেক সাংসদ ডাঃ মোখলেছুর রহমান তা না করে রেজুলেশন করে ২০২৩ সালের ২১ জানুয়ারী দায়িত্ব প্রদান করেন জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে ১৩ সিরিয়ালের শিক্ষক প্রভাষক বাবলুর রহমানকে। 
পরবর্তীতে ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে বলা হয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদ শূন্য হলে কলেজ শাখার সিনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু তৎকালীন সভাপতি তা মানেননি।
৫ আগষ্ট দেশের পট পরিবর্তন হলে আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পরিপত্র অনুযায়ী দায়িত্ব হস্তান্তরের আবেদন করি। ২৭ আগষ্ট খুলনা মাউশির কর্মকর্তা ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাবলুর রহমান কে দায়িত্ব হস্তান্তরের পত্র প্রেরণ করেন। তিনি তা না করে মাউশির আদেশটি কেন অবৈধ নয় এ মর্মে মহামান্য হাইকোর্টে ১০৯৬২/২৪ নং রিট পিটিশন দায়ের করেন। দ্বৈত বেঞ্চের বিজ্ঞ বিচারক মাউশির চিঠির বিরুদ্ধে ৬ মাসের স্থগিতাদেশ দেন।
চলতি বছরের ১৫ মে মহামান্য হাইকোর্ট বিচার্য বিষয়টি শিক্ষা বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবেন বলে চুড়ান্ত রায় প্রদান করেন।
রায়ের প্রেক্ষিতে যশোর শিক্ষাবোর্ড থেকে ২২ মে সিনিয়র শিক্ষক কে দায়িত্ব হস্তান্তরের জন্যে এডহক কমিটির সভাপতি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আতিয়ার রহমানকে পত্র প্রেরণ করা হয়। শিক্ষা অফিসার প্রভাবিত হয়ে ২৫ তারিখে সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। 
এদিকে ২৪:মে থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বাবলুর রহমান পালিয়ে বেড়ানোর পর ২৮ মে থেকে অলিখিত ভাবে আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছি। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি না থাকায় ১৬ জুন নতুন সভাপতি মনোনয়নের জন্য আমি জেলা প্রশাসক বরাবর ৩ জনের নাম দিয়ে আবেদন করেছি।
এরমধ্যে অবৈধ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমান শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রেরিত ৪ জুনের একটি পরিপত্র গোপন রেখে ১৫ জুন একটি ভুয়া প্রতিস্থাপনের চিঠি নিয়ে এসে স্থানীয় প্রশাসন কে বিভ্রান্ত করেন। অপরদিকে সভাপতির জন্য আবেদনের কাগজ নিয়ে সহকারী কমিশনার তাজুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার, ডিসি অফিসের পলি রানী ও উপজেলার আব্দুর রহিম বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে চলেছেন। বাবলুর রহমান প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশন খাতা, ক্যাশ খাতা সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাগজপত্র নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং নিজের অবৈধ পদকে আগলে রাখতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছেন। 
কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরিপত্র অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব প্রদান করে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে তিনি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক শিবপদ সরকার, প্রদর্শক ইদ্রিস আলী ও শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম।