ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিনের শিক্ষাসনদ জাল-জালিয়াতিমূলক সৃষ্ট বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি বিশ্বস্ত সূত্র। এতদ সংক্রান্তে তদন্ত কমিটির কাছে দাখিলকৃত শিক্ষাসনদসমূহ আলামত হিসেবে জব্দ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সূত্রটির মতে, যেকোনো ব্যক্তির শিক্ষাসনদের বিষয়টি স্পর্শকাতর। তার চেয়ে বেশি স্পর্শকাতর শিক্ষক পদে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাল-জালিয়াতিমূলক শিক্ষা সনদে চাকরি! এটি গুরুতর অপরাধ।
সূত্রটির মতে, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিনের তদন্ত কমিটির কাছে দাখিলকৃত শিক্ষাসনদের মূল সার্টিফিকেটের যে ফটোকপি নিজ হাতে সত্যায়িত করেছেন তাতে স্মারক নাম্বার ও তারিখ নেই। অস্পষ্টতা মনে হয়েছে। ফলে তার দাখিলকৃত শিক্ষাসনদ তদন্ত সংশ্লিষ্টদের কাছে যথেষ্ট সংশয়-সন্দেহের অবকাশ রয়েছে।
তাছাড়া তিনি কলেজের নিজস্ব প্যাড ও দুটি সিল ব্যবহার করে সংশয়- সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সূত্রমতে, এসব বিষয়গুলিকে গুরুত্বের সাথে আমলে নিয়ে তা নিশ্চিত হতে তার শিক্ষাসনদের মূল কাগজপত্রাদি পাওয়ার ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিতভাবে আবেদন করা হবে।
৫সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ঝিকরগাছা সরকারি শহীদ মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজর অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আলতাফ হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন,
আগামী রবিবার ২জুন তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর প্রেরণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাভিদ সারওয়ার, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডা. মাসুমা আক্তার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মিটিংয়ে ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কটুক্তি করেন।
এর প্রতিবাদে ঝিকরগাছা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করেন।
তিনি ঘটনার প্রতিবাদে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইলিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তার শিক্ষাসনদ ও শিক্ষক পদে চাকরির বৈধতার চ্যালেঞ্জ করেন। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড অভিন্ন দাবিসহ পৃথক বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন শেষে স্মারকলিপি প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভূপালি সরকার স্মারকলিপি গ্রহণপূর্বক পাঁচসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে।