রাজশাহী নগরীতে দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় আরো ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নগরীর বোয়ালিয়া থানার তালাইমারী বাদুরতলায় এলাকায় কিছু যুবকদের দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তাদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এরআগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় ১১ জন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হলো। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ৩ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয় এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সালাউদ্দিন(২০), নয়ন(২০), আসাদ(২০) ও হৃদয়(১৯)। সালাউদ্দিন রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার খরবোনা নদীর ধারের মামুনের ছেলে, নয়ন একই এলাকার আমিজনের ছেলে, আসাদ তালাইমারী বাদুরতলার পিন্টুর ছেলে ও হৃদয় বাশার রোডের রহিমের ছেলে।
নগর পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে নগরীর বোয়ালিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিভূতি ভূষন বানার্জীর তত্ত্বাবধানে সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এসআই ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিনসহ একটি পুলিশের দল দেশীয় অস্ত্র উঁচিয়ে নাচানাচির ভাইরাল ভিডিও’র গ্রেপ্তারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছিলেন।
পুলিশের এ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরীর বোয়ালিয়া থানার তালাইমারী শহিদ মিনার এলাকা হতে সালাউদ্দিন ও আসাদকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ২টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয় এবং তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সালাউদ্দিনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ি হতে আরও একটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ওই দল মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় তাদের সহযোগী নয়ন ও হৃদয়কে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তাদের সহযোগীদের নিয়ে অন্য একটি কিশোর গ্যাং এর সদস্যদের তাড়া করার উদ্দেশ্যে একত্রে দেশীয় অস্ত্রসহ নিয়ে বোয়ালিয়া থানার তালাইমারী বাদুরতলায় নাচানাচি করে এবং তার ভিডিও ধারণ করে।
তারা আরও জানায় আধিপত্য বিস্তার করতে এ অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।