ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

কিশোরগঞ্জ ভৈরবে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে  স্কুল মাদ্রাসাসহ দোকানপাট ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন ছনছাড়া ও ভাটি কৃষ্ণনগর  গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম। স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার সকালে ১১ টায় কৃষ্ণনগর গ্রামের ছেলেরা ছনছাড়া এতিম খানা মাঠে ফুটবল খেলে। খেলা শেষে ছনছাড়া গ্রামের ছেলেরা মাঠ ছেড়ে দিতে বলে। এক মাঠে একাধিক দল খেলা যায় না বলে এ নিয়ে দুই গ্রামের যুবকদের মাঝে বাকবিতাণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয়দের হস্থক্ষেপে বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা চলে।

পরে বেলা ১২ টায় কৃষ্ণনগর গ্রামের লোকজন দা, লাঠি, বল্লম, টেটা নিয়ে ছনছাড়া মাঠের পাশে হামলা চালিয়ে স্কুল, মাদ্রাসাসহ দোকানপাট ভাঙচুর করে। ছনছাড়া ৪নং ওয়ার্ড সদস্য হারুণ মিয়া জানান, কৃষ্ণনগর গ্রামেমের যুবকরা সকালে মাঠে ফুটবল খেলা শেষ করে মাঠ দখল করে রাখে। ছনছাড়া গ্রামের যুবকদের মাঠে ফুটবল খেলতে দেয়নি। এসময় ছনছাড়া গ্রামের যুবকরা কৃষ্ণনগর গ্রামের যুবকদের উপর চড়াও হলে বিষয়টি মারামারিতে লিপ্ত হয়। ঘটনার এ ঘন্টা পর কৃষ্ণনগর গ্রামের যুবকরা ছনছাড়া গ্রামে হামলা চালায়। এসময় তারা ছনছাড়া এতিম খানা মাদ্রাসা, স্কুলসহ প্রায় ৪০টি দোকাট পাট ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে।

কৃষ্ণনগর ৩নং ওয়ার সদস্য জামাল মিয়া জানান, কৃষ্ণনগর গ্রামের যুবকরা ছনছাড়া মাঠে খেলার সময় সেখানে স্থানীয় যুবকরা খেলতে বাঁধা দেয়। এ সময় তাদের মধ্যে মারামারি হয়। কৃষ্ণনগর গ্রামের ১০ জন যুবককে আহত করে। এতে কৃষ্ণনগর গ্রামের মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে ছনছাড়া গ্রামের ভাঙচুর করে। ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।