পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, শনিবার আনুমানিক বিকাল ৪টার সময় সম্পত্তির ভাগ ও নেশার টাকার জন্য মা আয়েশা বেগমের সাথে তর্কাতর্কি হয় বাবুল মিয়ার।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বোনকে খুনের অভিযোগ পাওয়া গেছে আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। ২৩জুলাই, গত শনিবার উপজেলার শিবপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত সোমা বেগম শিবপুর গ্রামের মোতালিব মিয়া কন্যা। অভিযুক্ত বাবুল মিয়া সোমা বেগমের আপন বড় ভাই। এঘটনায় অভিযুক্ত শনিবার মধ্যরাতে বাবুল মিয়াকে আটক করেছে ভৈরব থানা পুলিশ। নিহত সোমা বেগমের ৭বছর ও ৩বছরের দুইজন ছেলে সন্তান রয়েছে। ঘটনার দিন সকালে স্বামীর বাড়ি কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতি লক্ষ্মীপুর থেকে নিজ বাড়ি ভৈরবে এসেছিলেন। তার স্বামীর নাম শাহীন মিয়া। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান,গত শনিবার আনুমানিক বিকাল ৪টার সময় সম্পত্তির ভাগ ও নেশার টাকার জন্য মা আয়েশা বেগমের সাথে তর্কাতর্কি হয় বাবুল মিয়ার।

এক পর্যায়ে তার মাকে আঘাত করে আহত করে। এসময় সোমা বেগম তার ভাইকে বাধা দিলে বাবুল মিয়া তার বোন সোমাকে ইট দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত সোমা বেগমকে উদ্ধার করে একজন পল্লী চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। অবস্থার অবনতি হলে রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার সাজেদা আলাল জেনারেল হাসপাতালে আনেন। সেখান থেকে নিয়ে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত সোমা বেগম মারা যান। ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. বিনিতা দাস জানান, গত শনিবার রাতে  গুরুত্বর আহত অবস্থায় সোমা বেগমকে হাসপাতালে স্বজনরা নিয়ে আসলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ভর্তি দেয়া হয়।

মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ভর্তির ঘন্টাখানেক পর সে মৃত্যুবরণ করেন। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠানো হয়। এঘটনায় অভিযুক্ত বাবুলকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।