ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ মানব পাচারকারী দলের চক্রের অভিযুক্ত সালমাকে গ্রেফতার করা হয়।

ভৈরবে মানব পাচারকারী মামলার আসামী সালমা বেগমকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শহরের চন্ডিবের এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়াকে ইতালী পাঠানোর কথা বলে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে সালমা বেগম ও তার ভাই জুবায়ের তাকে ইতালী না পাঠিয়ে লিবিয়াতে আটক করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দেয়ায় ফারুকের ওপর নির্যাতন করে তারা। এই ঘটনায় গত সোমবার নির্যাতিত ফারুকের বাবা কালা মিয়া বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা করে। উক্ত মামলার আসামী হিসেবে পুলিশ সালমাকে গ্রেফতার করে। 

আজ বুধবার সকালে তাকে কিশোরগন্জ আদালতে চালান করা হয়। নির্যাতিত ফারুক বাবা ও মামলার বাদী কালা মিয়া অভিযোগে জানান, আমার ছেলেকে ইতালী পাঠানোর কথা বলে জুবায়ের ও তার বোন সালমাসহ ৫ জনের একটি চক্র আমার কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নেয়। পরে ছেলেকে লিবিয়া নিয়ে একটি গুদাম ঘরে আটক করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দাবিকৃত টাকা আমি দিতে না পারায় আমার ছেলে ফারুককে নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতনের ভিডিও দেখে আমি গত সোমবার থানায় মামলা করি। ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি)  মোহাম্মদ মাকছুদুল আলম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ মানব পাচারকারী দলের চক্রের অভিযুক্ত  সালমাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।