সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর রবিবার থেকে পুনরায় ভারতীয় চাল আমদানি শুরু হয়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকে পিঁয়াজ আমদানি স্থগিত করেছে সরকার। এই পদক্ষেপের ফলে বন্দর ও প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচিত হয়েছে।
ভোমরা বন্দরের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইছামতী ফুডস এবং সিএণ্ডএফ এজেন্ট সুলতান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও ভোমরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসরাইল গাজী জানান, গত বুধবার থেকে তার পাঁচটি ভারতীয় ট্রাক ভর্তি ২০০ মেট্রিক টন মোটা চাল আমদানির জন্য ঘোজাডাঙা বন্দরে অপেক্ষায় ছিল। সোমবার সন্ধ্যায় ওই চাল ভোমরা বন্দর থেকে ছাড় করানো হয়। এ ছাড়া আরো ১৯টি ভারতীয় ট্রাকের মাধ্যমে ৭৫০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। বর্তমানে আরো ১০১ ট্রাক চাল আমদানির অপেক্ষায় ঘোজাডাঙা বন্দরে অবস্থান করছে। তবে সরকারিভাবে এখনো আমদানিকৃত মোট চালের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
ভোমরা স্থলবন্দরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন জানান, চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি হয়েছিল। আজ সোমবার পুনরায় চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
প্রেক্ষাপট: ভোমরা বন্দর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান স্থলবন্দর, যা ভারত থেকে বিভিন্ন পণ্য আমদানির জন্য ব্যবহৃত হয়। চাল আমদানির ক্ষেত্রে ভোমরা বন্দরের ভূমিকা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে। তবে, সাম্প্রতিক পিঁয়াজ আমদানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত দেশের বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে।
বিশ্লেষণ: চাল আমদানি শুরু হওয়ায় দেশের খাদ্য মজুদ বাড়বে এবং চালের বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, পিঁয়াজ আমদানি স্থগিত হওয়ায় দেশের বাজারে পিঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি হতে পারে, যা ভোক্তাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
সমাজ-সাংস্কৃতিক প্রভাব: ভোমরা বন্দরের পুনরায় সক্রিয় হওয়া স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কর্মসংস্থানও বৃদ্ধি পাবে।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা: ভবিষ্যতে ভোমরা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তবে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকলে বাজারে সংকট সৃষ্টি হতে পারে। এ বিষয়ে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।