নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানায় চুরির অপবাদ দিয়ে গ্রাম্য সালিসিতে আবু লায়েছ নামে ১২ বছরের এক শিশুকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।মামলার বিবরণে জানা যায়, কেন্দুয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউনিয়নের সরাপাড়া গ্রামের বাক প্রতিবন্ধী আব্দুস সালামের ছেলে আবু লায়েছকে তার মা মোবাইলে টাকা লোড করার জন্যে সরাপাড়া বাজারে পাঠায়। বাজার থেকে ফেরার পথে মতিউর রহমান ওরফে অবিশ্বাস আবু লায়েছকে চোর বলে ধৃত করে। পরে সালিশের মাধ্যমে সবুজ মিয়ার সভাপতিত্বে মাথা ন্যাড়া করা হয়। গত ৭ আগস্ট সোমবার রাতে সরাপাড়া বাজারে মতিউর রহমান ওরফে অবিশ্বাসের ঘরে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরদিন সকাল ১০ টায় শারীরিক নির্যাতনের সাথে সাথে তার মাথা ন্যাড়া করা হয়।
ফলে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। অসুস্থ অবস্থায় গত শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কম্প্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায়,তাকে শারিরীক নির্যাতন ও মাথা ন্যাড়া করা হয়েছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আবু লায়েছে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমার হাত পা বেঁধে, আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে ও মিথ্যা চুরির অপবাদে আমার মাথা ন্যাড়া করে দেয়া হয়। এরপর আমার মায়ের কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করলে আমার মা অনেক কষ্টে দুই হাজার টাকা দিলে, তারা আমাকে ছেড়ে দেয়। আমি এখনও খুব অসুস্থ্য।
আমার বুকে, পিঠে অনেক ব্যথা।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভইরাল হলে গত শুক্রবার দুপুরে ছুটে যান, কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবেরী জালাল ও অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলী হোসেন পিপিএম সহ পুলিশ সদস্যরা। ঘটনার সত্যতা জেনে, তৎক্ষনাৎ সবুজ মেম্বার ও আবু তাহেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন এবং ঐ দিন রাতে ভুক্তভোগীর মা নূরেছা বাদী হয়ে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কেন্দুয়া থানার তদন্ত ইনস্পেক্টর ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃত ২ জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।