সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে অবৈধ যানবহন চলাচল করছে নিয়মিত। আর এসব অবৈধ যানবহনের স্টিয়ারিং অপরিপক্ক চালক ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের হাতে। বাড়ছে দুর্ঘটনা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় পাবনা নগরবাড়ী রুটের পাবনা বাস স্ট্যান্ডে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে তিন চাকার সিএনজি সহ চারচাকার লেগুনা।

 সড়ক ও পরিবহন আইনে মহাসড়কগুলোতে এসব যানবহন নিষিদ্ধ ঘোষিত হলেও গোপন লেনদেনে স্থানীয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়া  ও হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই চলছে হরদম। আর এসব ম্যানেজ করতে নিয়মিত চাঁদা তুলছেন স্থানীয় এক যুবক। প্রতিদিন চব্বিশ  টা লেগুনা ও  সিএনজি থেকে দেরশো টাকা করে নেয়ার কথা স্বীকার করেন   লেগুনা মালিক ও চালকরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই বলেন,  সিরাজগঞ্জ রোডে জুয়েলের নেতৃত্বে সিএনজি লেগুনা চলাচল করে দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে।

প্রশাসন ও সিরিয়াল মেইনটেইন করে প্রতিদিন মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন জুয়েল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লেগুনা ড্রাইভার প্রতিবেদককে জানান,  সিরাজগঞ্জ রোড গোলচত্বরে প্রতিদিন   হাইওয়ে পুলিশ ও সিরিয়াল মেইনটেইন এর জন্য লেগুনা প্রতি ১৫০ টাকা ও উল্লাপাড়া স্ট্যাডে ৭০ টাকা করে দিতে হয়।  জুয়েল রানা নামের একজন এসব পরিচালনা করেন।  আমরা  শান্তি মত গাড়ি চালাতে পারি পুলিশ  মামলা দেয় না  তাই চাঁদা দেই । এ বিষয়ে সিএনজি ও লেগুনা মালিক জুয়েলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি কোন টাকা পয়সা নেই না। যার যার সিএনজি সে সে চালায়। 

হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল কবির জানান,  আমরা হাইওয়ে পুলিশ অবৈধ যানবহন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি গতকালও দুইটা আটক করে মামলা দিয়েছি তবে টাকা পয়াসা লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই , স্থানীয় কেউ যদি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে চাঁদা আদায় করে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করব । দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনের কাছে  সচেতন মহলের দাবি অপরিপক্ক ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালকদের  হাতে বেশীর ভাগ সিএনজি ও লেগুনা থাকায়  প্রতিদিনই দুর্ঘটনা বাড়ছে। দুর্ঘটনা রোধে  মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবহন  বন্ধ সহ   প্রশাসনের  কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা জরুরী।