ওই বাসার এক ভাড়াটিয়া নারী জানান, সকালে দ্বিতীয় তলা থেকে চিৎকার করতে করতে প্রিয়ন্তী রক্তাক্ত অবস্থায় দরজার সামনে আসে। পরে দরজা খুলে দিলে সে মেঝেতে পড়ে যায়।

আমাদের নোয়াখালি জেলার ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান লিটন জানান পরকীয়ার জের ধরেই নোয়াখালীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক ওমান প্রবাসী আলতাফ হোসেন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য জানিয়েছে বলেও  পুলিশ নিশ্চিত করে। গতকাল বুধবার (১৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টায় সুধারাম থানায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরেন। এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার। 

গতকাল বুধবার (১৪ জুন) সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর গুপ্তাংক বারলিংটন মোড় এলাকায় বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতরা হলেন, নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফজলে আজিম কচি মিয়ার স্ত্রী নূর নাহার বেগম ও তার এসএসসি ফল প্রার্থী মেয়ে ফাতেমা আজিম প্রিয়ন্তী। ওই বাসার এক ভাড়াটিয়া নারী জানান, সকালে দ্বিতীয় তলা থেকে চিৎকার করতে করতে প্রিয়ন্তী রক্তাক্ত অবস্থায় দরজার সামনে আসে। পরে দরজা খুলে দিলে সে মেঝেতে পড়ে যায়। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আমিন নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, ওই বাসা থেকে এক যুবক বের হওয়ার সময় তাকে আটক করতে চাইলে প্রথমে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে তাকে প্রায় ২০০ মিটার দূর থেকে ধাওয়া করে আটক করেন তারা। এ সময় ওই যুবকের জামা-কাপড় রক্ত মাখা ছিল। পরে স্থানীয়রা প্রিয়ন্তীদের দোতলার বাসায় গিয়ে দেখেন তার মা নুর নাহারও রক্তাক্ত অবস্থায় এক কক্ষে পড়ে রয়েছেন। এ ঘটনায় সোনাপুর-মাইজদী প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্থানীয়রা। বিকেল ৪টা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভে প্রায় ১ হাজার স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।