কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাদক নিয়ে তর্ক-বিতর্কে হামলায় কামরুল মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কামরুল মিয়ার বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। ২৩ অক্টোবর রোববার পৌর শহরের চণ্ডিবের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে সহযোগীতা না পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশের কাছে গেলে সহযোগীতা পেতে বিলম্ব হয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী।

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাদক নিয়ে তর্ক-বিতর্কে হামলায় কামরুল মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় কামরুল মিয়ার বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে। ২৩ অক্টোবর রোববার পৌর শহরের চণ্ডিবের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরিবার স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে সহযোগীতা না পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশের কাছে গেলে সহযোগীতা পেতে বিলম্ব হয় বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবী।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ২১ অক্টোবর রাতে চণ্ডিবের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার সাগর মিয়ার সাথে কামরুল মিয়ার মাদক বেচাকেনা নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়। পরে রাত সাড়ে নয়টার দিকে সাগর তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে হাসপাতাল রোডে কামরুল মিয়ার উপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় কামরুল গুরুত্বর আহত হলে বাড়ির পাশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তাকে ভর্তি করা হয়। ২২ অক্টেবর মিমাংসার নাম করে সাগর, পিয়াস, সোহান, সম্রাট, নুর আলম, বাক্কি মিয়া, ফরহাদ ও দুলাল ঐক্যবদ্ধ হয়ে আবারো কামরুলের উপর হামলা চালায়। হামলায় কামরুলের মাথায় ছুড়িকাঘাত করা হয়। এসময় কারুলের পিতা ফুরুক মিয়াকে ছুড়িকাঘাত ও তার মা সেলিনা বেগমকে এলেপাথারী পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা এসে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। গুরুত্বর আহত অবস্থায় কামরুল মিয়াকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে কামরুলের মা সেলিনা বেগম জানান, মাদক নিয়ে তর্ক বিতর্কে আমার ছেলেকে দুই দফায় মেরে আহত করেছে। আমি আমার স্বামী ও মেয়ে ফেরাতে গেলে তারা আমাদের মারধোর করেছে। স্থানীয় কাুন্সিলর আমাদের কোন রকম সহযোগীতা করে নি। হামলাকারীরা আমার বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করেছে। আমি সর্বহারা হয়ে গেছি। আমরা কোন উপায় না দেখে ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ নাম্বারে কল দিলে ভৈরব থানা থেকে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে চন্ডিবের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। বর্তমানে আমার ছেলে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এখন আমি আমার পরিবার এবং আমার ছেলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেছি।  হামমলাকারীরা যেকোন মহূর্তে আমার ছেলের প্রাণনাশ করতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোমেন মিয়াকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করে নি। ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ মাকছুদুল আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।