ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী লালচাঁদ ওরফে সোহাগ (৩৯) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামী নান্নু কাজী (৩৩) কে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

ঢাকা জেলার কেরাণীগঞ্জ মডেল থানাধীন পূর্ব নামাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে লালচাঁদ ওরফে সোহাগ দীর্ঘদিন ধরে ভাঙ্গারী ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন। ব্যবসা সংক্রান্ত বিরোধ এবং এলাকার আধিপত্য নিয়ে আসামী মাহমুদুল হাসান মহিন (৪১) এর সাথে তার দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব চলছিল। অভিযোগ অনুযায়ী, মহিন ভিকটিম সোহাগকে পূর্বে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল।

গত ৯ জুলাই ২০২৪ তারিখ বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে, আসামী মাহমুদুল হাসান মহিন ও তার সহযোগী নান্নু কাজীসহ অন্যান্যরা সোহাগকে তার দোকান থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নির্মমভাবে মারধর করে। পরে তাকে টেনে হিঁচড়ে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে নিয়ে গিয়ে বিবস্ত্র অবস্থায় লোহার রড, সিমেন্টের ব্লক ও ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, মৃত্যুর পরও তার মরদেহের ওপর নৃশংসতা চালানো হয়।

ঘটনার পর কোতোয়ালী থানায় ভিকটিমের বোন মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর-০৭, তারিখ: ১০/০৭/২০২৫, ধারা: ১৪৩/৩০২/৩৪, পেনাল কোড-১৮৬০)। মামলার পর থেকেই র‌্যাব-১০ আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ায়।

এরই ধারাবাহিকতায়, আজ ১৫ জুলাই ২০২৫ তারিখে র‌্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং র‌্যাব-১১ এর সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন বালিয়াগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত আসামী মোঃ নান্নু কাজী (৩৩), পিতা- মৃত কাদের কাজী, সাং- প্রিয়কাঠি, থানা- ডামুড্যা, জেলা- শরিয়তপুর-কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব।