মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের রেলওয়ের প্রকৌশল দপ্তরের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে দপ্তরের অধীনে কর্মরত ১১টি মেইট (দল), গেটম্যানসহ কর্মচারিরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বলা হয়, তাদের দপ্তরের এক নারী কর্মচারির নেতৃত্বে প্রভাবশালী পাঁচ-সাতজনের একটি সিন্ডিকেট দপ্তর প্রধান ও সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে গত কিছুদিন ধরে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এতে দপ্তরের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করা সাধারণ শ্রমিক ও কর্মচারিদের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যম ও অনলাইন মিডিয়া ব্যবহার করে এ অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে দপ্তরের কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মানববন্ধন থেকে মিথ্যা প্রচারণার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সঙ্গে দপ্তরের ওই প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, দপ্তরে ওয়েম্যান হিসেবে কর্মরত এক নারী কর্মচারির কাজ করার কথা রেল লাইনে। তাঁর কাজ রেলপথের পাথর বাছাই করা। কিন্তু তিনি রেলপথে কাজ না করে অফিসে বসে সময় কাটান। একইসঙ্গে অন্যদের কাজে ব্যাঘাত ঘটান। কাজ না করতে অন্যদের প্ররোচিত করেন। এই ওয়েম্যানের সঙ্গে জোট বাঁধে কর্মবিমুখ আরো পাঁচ-সাতজন। কয়েকদিন আগে উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান অফিসে বসে না থেকে ওই নারীসহ তাঁর অনুগত রেলপথ শ্রমিকদের মাঠে কাজে যাওয়ার নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী চক্রটি প্রকৌশলী ও সাধারণ কর্মচারিদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের মিথ্যা দুনীর্তির অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে থাকে। একইসঙ্গে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে নামসর্বস্ব অনলাইন মিডিয়াতে কল্পিত সংবাদ প্রকাশে সহযোগিতা করতে থাকে। এর ফলে সাধারণ কর্মচারিদের বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন থেকে ওই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, টাইম কিপার রুমান মিয়া, মিস্ত্রি আবুল হাসেম ও সঞ্জিত রঞ্জন ঘোষ প্রমুখ।
এদিকে মানববন্ধন শুরু হওয়ার আগে সিন্ডিকেটভুক্ত বেশ কয়েকজন কর্মচারি বাধা দিয়ে কর্মসূচি ভণ্ডুল করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির তৈরি হয়। পরে বাধা উপেক্ষা করে কর্মচারিরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
সামগ্রিক অবস্থা সম্পর্কে উর্দ্ধতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার দপ্তরের কিছু লোককে অফিসে বসে না থেকে মাঠে কাজেকর্মে নিয়োজিত হতে বলা হলে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতি ও নানা অভিযোগ এনে অপপ্রচার চালাতে থাকে। এতে দপ্তরের অন্য কর্মচারিরা তাদের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে এ মানববন্ধন করে। আমি তখন সেখানে ছিলাম না। এ ব্যাপারে তারা আমার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।