যারা বলে (হাহাকার করে) বেড়াচ্ছেন যে বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় চার নেতা দের মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এবং যারা এই খবর পত্রিকায় দেখে 'চীলে কান নিয়ে গেছে' শুনে চীল এর পেছনে দৌড়াতে শুরু করেছেন। তাদের জন্য এই লেখা। গেজেট এর এই অংশটুকু ভালোমতো পড়লেই আশা করি আপনাদের আহাজারি আর থাকবেনা। ড. ইউনূস কে এদেশের বেশিরভাগ মানুষ পছন্দ করেন, সম্মান করেন। তাকে কারা অপছন্দ করে, অসম্মান করে গত এক যুগে এদেশের মানুষ তা দেখেছে। তাদের উচ্ছিষ্টভোগী শ্রেণী এখনো এদেশের বিভিন্ন পর্যায়ে বিদ্যমান রয়েছে। তাদের ভাষায় তার প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব দেশ ধ্বংসকারী দের থেকে সাবধান হওয়া দরকার। তারা ৫৪ বছরে দেশকে আগাতে দেয়নি, অন্য কেউ এগিয়ে নিতে গেলেও ওদের ভালো লাগার কোনো কারন নেই। দেশ গড়তে লাগবে দেশপ্রেমিক , দেশবান্ধব লোকেদের। যারা না ভারতীয় না পাকিস্তানী রাজাকার তারা দালালি করবেন শুধুমাত্র বাংলাদেশ এর। দেশপ্রেমিক শক্তি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এটাই জনগনের আশা আকাঙ্ক্ষা।
দেশের শীর্ষস্থানীয় কিছু মিডিয়াঘর এমনকি বিবিসি র মত সংস্থা ও এই নিউজ করলো। বাংলাদেশের মিডিয়ার সিন্ডিকেট মিথ্যাচারিতার ভয়াবহতা আজকে আরো একবার দেখা গেল। এসকল দায়িত্ব জ্ঞানহীন মিডিয়াদের যথাযথ শাস্তির আওতায় না আনলে এদের শিক্ষা হবে না। এদের মধ্যে দায়িত্বশীলতা ও তৈরি হবে না। বড় অঙ্কের জরিমানা করা উচিৎ এই মিডিয়াগুলোকে। এর মধ্যে সবচেয়ে উস্কানিমূলক যে নিউজ হয়েছে সেটা এ রকম 'গভীর রাতে অধ্যাদেশ জারি'। মনে হচ্ছে যেনো গোপন এবং ভয়ংকর অপরাধ করে ফেলেছে রাতের বেলায় অধ্যাদেশ দিয়ে। বাংলাদেশের মিডিয়ার ইতিহাসে গতকাল রাতটা কলঙ্কজনক হয়ে থাকবে বলে অনেকে মনে করেন। একটা গেজেট না পড়েই কিভাবে সিন্ডিকেটেড নিউজ করা যায় এমন একটা বিষয় নিয়ে, কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন আমাদের মিডিয়া। এদের শাস্তির আওতায় না আনলে সামনে আরও ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে বলেই বোদ্ধারা মনে করেন।
সংশোধিত অধ্যাদেশে বীর মুক্তিযোদ্ধার সজ্ঞায় বলা হয়েছে, যারা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে গ্রামে-গঞ্জে যুদ্ধের প্রস্তুতি ও অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ভারতের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে হানাদার ও দখলদার পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় সহযোগী রাজাকার, আলবদর, আলশামস, তৎকালীন মুসলিম লীগ, জামায়াতে ইসলামী, নেজামে ইসলাম এবং দালাল ও শান্তি কমিটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন, এরূপ সকল বেসামরিক নাগরিক উক্ত সময়ে যাদের বয়স সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সর্বনিম্ন বয়সের মধ্যে, এবং সশস্ত্র বাহিনী, ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর), পুলিশ বাহিনী, মুক্তি বাহিনী, প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার (মুজিবনগর সরকার) ও উক্ত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত অন্যান্য বাহিনী, নৌ কমান্ডো, কিলো ফোর্স, আনসার সদস্যরা বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
রাতে অধ্যাদেশ পাস হলো। সকাল হতে হতেই মিডিয়া পাড়ায় সয়লাব হয়ে গেল এই ভুল সংবাদে। যাদের কারনে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তদন্তের মাধ্যমে তাদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া দরকার যাতে করে পুনরায় কেউ এই ধরনের ভুল বা ইচ্ছাকৃত ভুল করার আগে চিন্তা করতে বাধ্য হয়।
আর বিভিন্ন সংস্থার উদ্যোগ নিয়ে খুঁজে দেখতে হবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কিনা।