আমার বিনীত অনুরোধ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও প্রসাশন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যেন ঐ হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডের ঘৃনীত ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনে।

মেহেরপুরে হোটেল আটলান্টিকা কান্ডে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফি মামলায় একজন সফল নারী উদ্যোক্তা ও রাজনীতিবিদ কে এজহারভূক্ত আসামী দেখানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনটি বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগ মেহেরপুর জেলা শাখার ব্যানারে অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদক সহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী এই মানববন্ধনে অংশ নেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে এগারোটায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ ভাবে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে ভুক্তভোগী নিলুয়ার ইয়াসমিন রূপা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের মেহেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক বলেন, 'আমি মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগে কেন্দ্রিয়ভাবে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছি।

কিছু দুষ্কৃতিকারী ব্যক্তিদের ইন্ধনে আমাকে হোটেল আটলান্টিক কান্ডে চাঁদাবাজি ও পর্নোগ্রাফি মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়। এই মামলার এজহারে প্রায় ৩৫ জনের নাম ছিলো। সেখানে কিছু টিভি সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবীদ ও প্রভাবশালীদের নাম ছিলে, যা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে পূর্ববর্তী সময়ে প্রকাশিত হয়। সেই মামলার এজাহার থেকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরবর্তীতে ১৮ জনকে অব্যহতির সুপারিশ ও ১৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। যেখানে বাদীর মামলায় ও স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্যতে কোথাও কোন আমার নাম আসে নাই, সেখানে চার্জশিটে আমার নামটি জুড়ে দেওয়াটা খুবই দুঃখজনক। আমার বিনীত অনুরোধ তদন্তকারী কর্মকর্তা ও প্রসাশন সঠিক তদন্তের মাধ্যমে যেন ঐ হোটেল আটলান্টিকা কাণ্ডের ঘৃনীত ঘটনায় প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে আদালতের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনে।

আমি সমাজ ও মানবতার সেবায় নিজেকে যুক্ত করে বিগত বারো বছর যাবৎ আপনাদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুইজন সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল হক রতন মোল্ল্যা ও সেলিম রেজা সাংবাদিকদের বলেন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে তারা নিলুফার ইয়াসমিন রুপার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তারা দাবি করেন রুপাকে মামলায় জড়ানোর ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও হয়রানিমূলক। বিচার ব্যবস্থা ও আদালতের উপর আমাদের আস্থা আছে। সঠিক তদন্ত ও আদালতের বিচারে নিলুফার ইয়াসমিন রুপা যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তখন আমরা রুপার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব। কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদকদ্বয় আরো বলেন আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস নিলুফার ইয়াসমিন রুপা ষড়যন্ত্রের শিকার। সঠিক তদন্ত হলে তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।