মেট্রোপলিটন কলেজ খুলনা-এ জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ও অবৈধ ভাবে জাল জালিয়াতি করে নিয়োগ নিয়ে এমপিও ভুক্তি করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ ও ২১ বছর ধরে সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন এবং কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট তথ্য গোপন করে বিনা ছুটিতে বিদেশ ভ্রমণ সহ নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে পড়েছে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা।

মেট্রোপলিটন কলেজ খুলনা,সবুজবাগ,সোনাডাঙ্গা,খুলনা। ২০০২ সনে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৪ সনে এমপিওভুক্তি লাভ করে। সে সময় হতে কলেজে(২০০২ সন হতে) নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্য হতে নিম্নোক্ত ১৬( ষোল ) জন শিক্ষক কর্মচারী কলেজ কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি গ্রহণ করে ।যাহা বিগত ইংরেজি ১২/০২/২০২৩ ইংরেজি তারিখের প্রজ্ঞাপন যার স্মারক নং

৩৭.০০.০০০০.০৭৪.০০৬.০০৯( সমন্বয়).২০১৩( খণ্ড-১)৩৬ পত্র মোতাবেক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ মহোদয় জনাব দিবাকর বাওয়ালী সার্টিফিকেট তথ্য যাচাই  করেন এবং ১৬( ষোল) জন শিক্ষক কর্মচারী যথা- ১. মোঃ জিয়াদ আলী(প্রভাষক আরবি সাহিত্য), ২. এএইসএম মাহবুবুর রহমান শামিম(প্রভাষক ইংরেজি), ৩. ঠাকুর দাস মন্ডল(প্রদর্শক), ৪. শাহানাজ পারভিন (প্রভাষক সাচিবিক বিদ্যা), ৫. জাহিদ আলামিন (প্রভাষক কৃষি), ৬. শেখ মইন উদ্দিন(প্রদর্শক কম্পিউটার), ৭. শরিফুজ্জামান মোল্লা (ল্যাব সহকারী), ৮. শেখ আলঙ্গীর হোসেন (অফিস সহায়ক), ৯. কাজী খায়রুল ইসলাম (অফিস সহায়ক), ১০. পলি আক্তার(আয়া), ১১. কে এম রবিউল ইসলাম (প্রভাষক বাংলা), ১২. সাহিনা খাতুন (লাইব্রেরিয়ান), ১৩. এম ডি সাইদুজ্জামান (প্রভাষক ব্যবসায় উদ্যোগ ও ব্যবহারিক ব্যবস্থাপনা ), ১৪. শরিফুল আলম(প্রভাষক অর্থনীতি বাণিজ্যিক ভূগোল), ১৫. মনিরা জামান (প্রভাষক কম্পিউটার), ১৬. নাসরিন আক্তার (ল্যাব সহকারী) জাল সার্টিফিকেট যাচাইয়ে দেখা যায় তারা জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার ও অবৈধ নিয়োগ নিয়ে এমপিও করেছেন এবং উল্লেখিত পত্রের শর্ত মোতাবেক অত্র কলেজের বিষয় ভিত্তিক ও কাম্য সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী না থাকায় ও পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক না হওয়ার সত্ত্বেও তথ্য গোপন পূর্বক কলেজের শিক্ষকরা বেতন ভাতা উত্তোলন করেছে যাহা সরকারের ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সামিল। কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক এএইসএম মাহবুবুর রহমান শামিম সহ নিম্নোক্ত অবৈধ নিয়োগ ও ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল-জালিয়াতি করে কাম্য অভিজ্ঞতা অর্জনের পূর্বেই নিয়োগ নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের চোখে ধুলো দিয়ে এমপিওভুক্তি করে দীর্ঘ ২১ বছর অবৈধভাবে সরকারি অর্থ উত্তোলন করে বেতন ভাতা তুলছেন । যার প্রেক্ষিতে কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং অধ্যক্ষ মহোদয় শিক্ষক কর্মচারীদের সার্টিফিকেট ও নিয়োগ তথ্য যাচাইয়ের জাল সার্টিফিকেট ও অবৈধ নিয়োগ ধরা পড়লে কলেজের দাতা সদস্য বিগত ইংরেজি ২৬/০১/২০২৫  ইংরেজি তারিখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মহা পরিচালক সহ বাংলাদেশের সকল দপ্তরে আবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তাছাড়া কলেজে ২০০৩ সন হতে বিভিন্ন সময় কলেজের নিম্নোক্ত শিক্ষক কর্মচারী ১. এএইসএম মাহবুবুর রহমান শামিম( প্রভাষক ইংরেজি ),২. সাহিনা খাতুন( প্রভাষক অর্থায়ন) ,৩. জলিলুর রহমান (অফিস সহায়ক), ৪. নিহার রঞ্জন মন্ডল (প্রভাষক সমাজ কল্যাণ), ৫. আব্দুস সালাম পাইক (প্রভাষক ইতিহাস),৬. শাহিনা খাতুন ( লাইব্রেরিয়ান),৭. মাহাবুবুর রহমান মোড়ল (প্রভাষক বাংলা) ও আরো অনেকে তারা সরকারি বিধি অমান্য করে কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে বৈধ ছুটি না নিয়ে সত্য গোপন করে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছে এবং ফিরে এসে হাজিরা খাতায়ও স্বাক্ষর করেছে তাদের কোন ছুটি মঞ্জুর নেই। কলেজ কর্তৃপক্ষ সংবাদ প্রকাশের সময় পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে । এ বিষয়টি সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ সহ দুদক চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ঢাকা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মহাপরিচালক (মাউশি),পরিদর্শন ও হিসাব-নিরীক্ষা অধিদপ্তর,ঢাকা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও যশোর বোর্ড সহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে ও আইনী সংস্থার সকল দপ্তরে বিষয়টি অবহিতপূর্বক দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

বর্তমান সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক উল্লেখিত জাল-জালিয়াতি ও অবৈধ বিদেশ ভ্রমণ বিষয় গুলির বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার সুষ্ঠু  তদন্ত ও যাচাই-বাছাই করলে অত্র কলেজ হতে প্রায় ১২(বার) কোটি টাকার ঊর্ধ্বে অর্থ সরকারের কোষাগারে ফেরত যাবে এবং এই সমস্ত জাল জালিয়াতি কারি শিক্ষক কর্মচারীদের ও অবৈধ নিয়োগধারীদের এবং অবৈধভাবে সরকারি বিধি অমান্য করে বিদেশ ভ্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের পূর্বক শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক।