হোটেল বাজার এলাকার আবাসিক হোটেল 'এজাজ প্লাজা’র চতুর্থ তলার ৪০২ নং রুম থেকে তার গলা কাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে হাত পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে

মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকার অনুমোদনহীন একটি আবাসিক হোটেল থেকে আব্দুর রহমান (৫০) নামের এক ইজিবাইক চালকের গলাকাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আব্দুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী শোলমারী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। গতকাল রবিবার ১১ জুন বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় হোটেল বাজার এলাকার আবাসিক হোটেল 'এজাজ প্লাজা’র চতুর্থ তলার ৪০২ নং রুম থেকে তার গলা কাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে হাত পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।

নিহত আব্দুর রহমানের ভাগ্নে আনোয়ার হোসেন তার লাশ সনাক্ত করেন। মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও সিআইডি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ করেছে। আনোয়ার হোসেন বলেন, গত শুক্রবার রাতে মামা ভাত খেতে বসেছিল। এসময় তাকে কে বা কারা ফোনে ডাক দেয়। সে ভাত রেখে তাদের সাথে চলে আসে। তারপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। আমরা তাকে খুজতে বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করি।

কুতুবপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর গোলাম মোর্তুজা মতু বলেন, 'আমাদের এলাকার একজন ভাল মানুষ হিসেবে আব্দুর রহমান পরিচিত। শুক্রবার পার্শ্ববর্তি উজলপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে নাহিদ হোসেন চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে ডেকে নেয় আব্দুর রহমানকে। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, হোটেল এজাজের ৪০২ নং কক্ষ থেকে অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। কি কারনে এই হত্যাকান্ড এই মূহুর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে হোটেলটির৩ মালিক ঝন্টু মিয়াকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।