নিলা আক্তার মোর্শেদ সড়কের বাসিন্দা ব্যবসায়ী মোঃ ইয়াসিন শেখের মেয়ে মোসাঃ আফরোজা বেগম (৩৫) ও চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী এলাকার বাসিন্দা মো.জাহাঙ্গীর (সৎ পিতা) এর মেয়ে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে মেয়র মুখ দেখতে দেখতে কয়েকবার বাক শক্তি ও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন নিহতের মা ফারজান বেগম। সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা থানার গোলকপুর, ইসলামপুরের মোঃ আব্দুল হোসেনের সাথে প্রায় ১৮বছর পূর্বে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় মোসাঃ আফরোজা বেগম। সেখানে দাম্পত্য জীবনে তাদের মেয়ে আইরিন আক্তার নীলা জন্ম গ্রহন করে। দীর্ঘ ৯বছর আগে মোঃ আব্দুল হোসেনের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
তখন আইরিন আক্তার নীলার বয়স ছিল ৪ বছর। বিবাহ বিচ্ছেদের পর মেয়েকে নিয়ে মোর্শেদ সড়কে বাবা ইয়াসিন শেখের বাড়ীতে চলে আসে। বাবার বাড়ীতে থাকা অবস্থায় ১বছর পূর্বে বাবা চাঁদপাই ইউনিয়নের মালগাজী গ্রামের মোঃ আলকাজ মোড়লের ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর মোড়লের সাথে ২য় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেন। বিবাহের পর থেকে আফরোজা বেগম ২য় স্বামীর বাড়ীতে থাকে এবং মেয়ে আইরিন আক্তার নীলা মাঝে মধ্যেই নানন বাড়ী থেকে মায়ের কাছে যেতো। নিহতের বাবা জাহাঙ্গীর মোড়ল জানায় , নিলা তার নানা পৌর শহরের মোর্শেদ সড়কের মোঃ ইয়াসিনের বাড়িতে বেশ কিছুদিন আগে বেড়াতে আসে। আজ তাকে আমার নিজ বাড়িতে আমি ও তার মা নিতে আসলে সে আমাদের সঙ্গে যেতে রাজি না হয়ে বরং আরো কিছুদিন নানা বাড়ি থাকতে নিলা জ্বিদ ধরে।
এতে নিলার মা কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে বকুনি ও একটি চড়ও দেয়। এতে নিলা অভিমান করে ঘরের ভিতরে ডুকে যায় এবং সকলের অজান্তে বিষ জাতীয় কিছু খায়। কিছুক্ষণ পর আমরা তা বুঝতে পেরে দ্রুত মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কিছুক্ষণ পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিসৎক জানান প্রাথমিক ভাবে আমরা চিকিৎসা শুরু করলেও তাকে বাচাঁনো সম্ভব হয়নি। বিষ জাতীয় কিছু খাওয়াতে তার মৃত্যু হয়েছে। মোংলা থানার ওসি (তদন্ত) বিকাশ চন্দ্র ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনার সাথে সাথেই হাসপাতাল এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এ ব্যাপারে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।