ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদকের একটি দল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মিঞাঁর কার্যালয়ে গিয়ে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই-বাছাই করে। এরপর অভিযুক্ত সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে অনিয়মের খোঁজে মাপঝোঁক শুরু করে।
২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ
দুদক সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ নগরীর আমলাপাড়া ও ব্রাহ্মপল্লী এলাকায় সিটি কর্পোরেশনের আওতায় ২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর, ময়মনসিংহ সমন্বিত কার্যালয়ের একটি তদন্ত দল সরেজমিনে অভিযানে নামে।

দুদকের বক্তব্য
অভিযানের বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু মোঃ সারোয়ার হোসাইন বলেন, “আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে অনিয়মের তথ্য খুঁজে পেয়েছি। তবে ঠিক কত টাকার অনিয়ম হয়েছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষ করে বিস্তারিত জানানো হবে।”

সিটি কর্পোরেশনের দাবি, কাজ নিয়ম মেনেই হয়েছে
তবে দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আজহারুল হক। তিনি বলেন, “দুদকের কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন, তবে প্রকল্পে কোনো অনিয়ম খুঁজে পাননি। আমরা নিয়ম মেনেই সড়ক ও ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছি।”
তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন
দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পুরো তদন্ত শেষ হলে প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ময়মনসিংহের সাধারণ নাগরিকরা এ তদন্তের সুষ্ঠু সমাধান ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।