যশোর জেলার ঝিকরগাছা উপজেলায় চাকরি দেওয়ার নাম করে ৫ লক্ষ টাকা আত্নসাৎ এর ঘটনায় ঝিকরগাছা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী জাকারিয়া হোসেন সহ আরও চার পাঁচ জন । অভিযুক্ত জুয়েল রানা ওরফে ইয়াসিন আরাফাত তুহিন যশোর জেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত নওশের আলীর ছেলে।অভিযোগসূত্রে জানা যায় যে, জুয়েল রানা ওরফে ইয়াসিন আরাফাত তুহিন নিজেকে ইসলামি ফাউন্ডেশন এর একজন প্রভাবশালী বড় কর্মকর্তা পরিচয়ের বরাত দিয়ে সেখানে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২(দুই) বছর পূর্বে জাকারিয়া হোসেন- পিতা আনারুল ইসলাম,শারমিন খাতুন- পিতা জাহাঙ্গীর মোল্লা, মাসুদ রানা-পিতা শহিদুল ইসলাম, সাজ্জাদ হোসেন -পিতা আয়ুব হোসেন এবং জিম খাতুন এর নিকট থেকে নগদ ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগকারীদেরকে চাকরী না দিয়ে ঘোরাতে থাকে এবং টাকা ফেরৎ চাইলে বিভিন্ন রকম টালবাহানা করতে থাকে। সর্বশেষ গত ২৫ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে বিবাদীর মোবাইল ফোন দিয়ে টাকা ফেরৎ চাইলে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয় ভীতি দেখিয়ে ফোন কেটে দেয়।
এদিকে জুয়েল রানা ওরফে ইয়াসিন আরাফাত তুহিনের গ্রামের বাড়ি শ্রীরামপুরে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সে ছোট বেলা থেকেই প্রতারনা বিষয়ে নিজের হাতকে পরিপক্ক করেছে । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক বলেন, এই তুহিন বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার নামে রশিদ বই ছাপিয়ে নিজেকে হাফেজ মাওলানার পরিচয় দিয়ে বড় বড় শহরে গিয়ে টাকা কালেকশন করে। নিজেকে কাজী পরিচয় দিয়ে ভূয়া বিয়ে পড়ানোর অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। প্রতারনার মাধ্যমে একাধিক বিয়ে করা এই তুহিন অসহায় মানুষের চিকিৎসার জন্য গ্রাম থেকে চাউল,টাকা ইত্যাদি উত্তোলন করে সেটাও আত্নসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেন "বন্ধু ফাউন্ডেশনের একজন স্বেচ্ছাসেবী"।অভিযোগ এর বিষয় জানতে জুয়েল রানা ওরফে ইয়াসিন আরাফাত তুহিন এর মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঝিকরগাছার একজন সাংবাদিক এর নাম ধরে বলেন, এ ব্যাপারে তিনি(সাংবাদিক)আপনার সাথে কথা বলবেন। সেই সাংবাদিক উনার সাথে সংশ্লিষ্ট কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি আবারও উনার সাথে কথা বলতে বলেন এবং আমাকে আর ফোন দেবেননা বলে ফোন কেটে দেন।ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বাবলুর রহমান খাঁন বলেন গত ২৯ অক্টোবর প্রতারনার বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি । এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।