সারাদেশে যৌথ বাহিনী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে যশোরে বিভিন্ন স্থান থেকে ২৪ জন অপরাধীকে আটক করেছে।

সারাদেশে যৌথ বাহিনী পরিচালিত অপারেশন ডেভিল হান্টের অভিযানে  যশোরে বিভিন্ন স্থান থেকে ২৪ জন অপরাধীকে আটক করেছে। গত দুইদিনে (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১৫ জন ও কোতয়ালী থানা পুলিশের অভিযানে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারফ নূর-ই-আলম সিদ্দিকী।তিনি জানিয়েছেন কোতয়ালী মডেল থানায় ৯ জন এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও১৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। আটককৃতরা হলেন- সদরের নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের মৃত হাজী খোরশেদ আলম বিশ্বাসের ছেলে ফেরদৌস আলম, যশোরের উপশহর ডি-ব্লকের মনিরুজ্জামানের ছেলে মিজানুর রহমান রাফি, শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত বজলুর রহমানের ছেলে আব্দুল হামিদ খোকন, ফতেপুরের ভায়না গ্রামের মৃত শুকুমার ঘোষের ছেলে মদন ঘোষ, একই গ্রামের মৃত বদর উদ্দীনের ছেলে শেখ হারুন অর রশীদ, রামকৃষ্ণপুরের মৃত হোসেন আলী মোল্যার ছেলে সোহরাব হোসেন শিহাব, লেবুতলার এনায়েতপুরের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে শাহিনুর রহমান, একই গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে তুষার ও লেবুতলার মৃত আকমলের ছেলে জাহিদুর রহমান। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ফেরদৌস নরেন্দ্রপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। ইউনিয়ন জুড়ে ফেরদৌসের চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, আটকৃতদের মধ্যে ফেরদৌস আলম ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা হলেও তার দাপটে অস্থির ছিল পুরো ইউনিয়নবাসী। ইউনিয়ন জুড়ে দখলদারি ও সন্ত্রাসীকর্মকাণ্ডসহ ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের ব্যক্তিদের হয়রানি ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিলেন তিনি। ইউনিয়নের মূর্তিমান আতঙ্কে পরিণত হয়েছিলেন ফেরদৌস। তার দাপটে অতিষ্ট হয়ে উঠেছিল ইউনিয়নবাসী। সম্প্রতি ওই গ্রামের নুর ইসলাম নামে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা আদায়সহ বিভিন্নি ঘটনায় ডজন খানেক অভিযোগ রয়েছে ফেরদৌসের বিরুদ্ধে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল জানিয়েছেন, কোতয়ালী থানায় আটককৃত ৯ জনের বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর যশোর সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটকেন্দ্রে বোমাবাজির অভিযোগে গত ১৯ নভেম্বর কোতোয়াালি থানায় মামলা করেন অ্যাডভোকেট মুন্সী মঞ্জুরুল ইসলাম। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই নয়জনকে আটক করা হয়। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী জানিয়েছেন, কোতয়ালী মডেল থানায় ৯ জন ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আরও ১৫ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। তিনি আরও বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট যৌথভাবে পরিচালিত হলেও পুলিশি কার্যক্রম আরও গতিশীল হলো। এছাড়া অপরাধ দমনে জনগণের কাঙ্খিত সেবা দিতে পারবে বাহিনী।