যশোর সাতক্ষীরা সড়কটি ২০২২ সালে মহাসড়কে উন্নীত হবার পর থেকেই যেন বেড়ে চলেছে একের পর একটা দুর্ঘটনা। এই রুটটি সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরার সঙ্গে মিলিত হওয়ায় যাত্রিবাহী পরিবহন তুলনামূলকভাবে কম। ফলে এই রুটে দাপিয়ে চলে ট্রাক,নসিমন,করিমনসহ অন্যান্য অনিবন্ধিত যানবাহন।
ফলে এই মহাসড়কে চলছে একের পর এক হতাহতের ঘটনা। ২০২২ সালে ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে মনিরামপুর থানার ভোজগাতি নামক স্থানে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হোটেলে ঢুকে পড়ে। রাস্তায় পুত্রকে নিয়ে পরোটা কিনতে যাওয়া পিতা ও পুত্র,সাথে হোটেলের ভিতরে থাকা আরো চারজনসহ মোট ছয় জন নিহত হয়।
পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে ট্রাকে ট্রাকে সংঘর্ষ, পুলিশ বাহনকারী পিকআপ-ট্রাকের ধাক্কায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া,কিংবা নিয়ন্ত্রণ হারানো ট্রাকের কোন দোকানে, হোটেলে বা অন্যান্য স্থাপনায় আঘাত হানা- এই মহাসড়কের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ১০-৬-২০২৪ তারিখেও মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অদূরে বাধাঘাট নামক স্থানে পানির ট্যাংকি বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজন পথচারীকে পিষ্ট করে সড়কের পাশে গোডাউনে ঢুকে পড়ে।
একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনার ফলে সাধারণ পথচারীর সহ অন্যান্য পরিবহন চালকদেরকে এই সড়কে আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করতে হয়। দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রাত জেগে ঘুম চোখে নিয়ে গাড়ি চালানো কে কারন হিসাবে মনে করেন অন্যান্যরা। এছাড়াও মহাসড়ক দখল করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংএর একটি অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তারা।