সমালোচনা থেকে রেহাই পেতে ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর পরেও রক্ষা হলো না ওসির। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে তাকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গতকাল শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওসি পারভেজ আহমেদ সেলিম থানার ভেতরে নিজ উদ্যোগে মাসিক ভোজসভার আয়োজন করেন। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেই ভোজ সভায় নিমন্ত্রিত ছিলেন নাওডোবা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোক্তার বেপারী। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে নাওডোবার কালু বেপারী কান্দির নিজ বাসা থেকে মোক্তার বেপারীকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওসি নিজের দায় এড়াতে এবং সমালোচনা ঠেকাতে রাতারাতি এই গ্রেপ্তারের নাটক সাজান।
ওসি পারভেজ আহমেদ সেলিম তখন দাবি করেছিলেন, মোক্তার বেপারী বাজার কমিটির সভাপতি হিসেবে ভোজসভায় ছিলেন এবং পরবর্তীতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এই ব্যাখ্যায় স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমিত হয়নি।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পারভেজ আহমেদ সেলিমকে প্রত্যাহার করে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।