জ্বরের শত্রু আনারস, এর যেমন উপকারিতা আছে তেমনি আবার অপকারিতাও আছে।

হঠাৎ হঠাৎ করেই ভাইরাসজনিত জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। জ্বর এলেই ওষুধ খেয়ে ফেলেন হুটহাট। এমনটা হয়ই। তবে জ্বর এলেই ওষুধ খেয়ে নেবেন চট করে এমনটা না করাই ভালো।  এমন অনেক খাবার আছে যা খেলে জ্বর এমনিতে সেরে যায়। জ্বর ভালো হওয়ার জন্য আনারস খুবই উপকারি।জ্বরে খেতে পারেন আনারস। আর কারো জ্বর যদি তিন দিনের বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। আনারস ফলটি খেতেও ভীষণ স্বাদ।পুষ্টিগুণে ভরপুর এই ফলে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ, সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম-ফসফরাস। আনারস খেলে হজমও খুব তাড়াতাড়ি হয়।


আনারসে থাকে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম,এটি হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। আনারসে থাকা প্রচুর ভিটামিন সি সহজে ঠান্ডা এবং সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে।এছাড়াও জণ্ডিসেও আনারস খুব উপকারী।  ওজন কমানোর জন্যে আনারস খেতে পারেন নিশ্চিন্তে। আনারসে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ থাকে। নেই কোন ফ্যাট। ফলে পরিমিত পরিমাণ আনারস খেলে তা শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। মাড়ি/দাঁতের যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে আনারস খুব কার্যকর। হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে আনারস। এতে থাকা প্রচুর ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে সাহায্য করে। বাচ্চাদের কৃমির সমস্যা দূর করার ক্ষেত্রেও আনারস  মারাত্মক উপকারী। সকালে খালি পেটে আনারসের মাঝখানে যে শক্ত লম্বাটে ধরনটা থাকে, সেটি খেতে হবে।তবে মনে রাখবেন একসঙ্গে কখনোই দুধ আর আনারস খাবেন না। আনারস একটি অ্যাসিডিক এবং টকজাতীয় ফল। দুধের মধ্যে যে কোনো টকজাতীয় জিনিস দিলে দুধ ছানা হয়ে যেতে পারে বা ফেটে যেতে পারে।এর ফলে হতেই পারে বদহজম, পেট ফাঁপা, পেট খারাপ। তাই দুধ-আনারস একসঙ্গে না খেয়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টা মাঝে বিরতি দিয়ে খাওয়া উচিৎ। আর যদি অ্যাসিড সমস্যা থাকে, তাহলে কোন ফল খালি পেটে খাবেন না।