সেবার তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মরহুম সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। এদিকে আগামী ২৭ ডিসেম্বর এ সিটিতে তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনের আগে জাতীয় পার্টির সেই দূর্গেই, নানা কারণে প্রশ্নের মুখে জাতীয় পার্টি। আসন্ন রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির হয়ে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন দু'জন। জিএম কাদেরের পক্ষে মনোনয়ন পেয়েছেন মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা আর রওশন এরশাদের পক্ষে আব্দুর রউফ মানিক। এমন কাণ্ডে হতবাক রংপুরের এরশাদ ভক্তরা। রংপুরের নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, জাতীয় পার্টির বিভক্তি যদি রংপুরে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ্যে আসে, তাহলে সংঘাত অনিবার্য। এক্ষেত্রে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনও কঠিন হয়ে পড়বে।আসন্ন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ভোট দু’ভাগ হওয়ার শঙ্কাও তাদের।
এদিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাপার অবস্থান নিয়ে আলাপকালে জাপার মনোনয়ন বোর্ডের সদস্য ব্যরিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশনে যে দলীয় সংবিধান জমা দেয়া আছে সে অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিবই মনোনয়ন প্রদান করতে পারবেন। সে অনুযায়ী মোস্তফা সাহেবই লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। অন্যদিকে রওশন এরশাদপন্থীরা বলছেন, রওশন এরশাদই জাপার মূল দলের লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন। তবে চুড়ান্তভাবে কে লাঙ্গল প্রতীক পাচ্ছেন তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বেশিরভাগ নগরবাসী বলছেন, লাঙ্গল নিয়ে রশি টানাটানি চলছে। মোস্তফা সাহেবের জনপ্রিয়তা অনেক। সেই দিক বিবেচনা করে তাকেই চূড়ান্তভাবে লাঙ্গল প্রতীক দেয়া উচিত। এখানে অভ্যান্তরীণ কোন রাজনীতির প্রয়োজন নেই। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাও এ নিয়ে হতাশায় ভূগছেন। মহানগরীর ৩নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, মোস্তফা ছাড়া লাঙ্গল প্রতীক আর কেউ পেলে আমরা তা সহজভাবে মেনে নিব না।আমরা যারা নেতা-কর্মী আছি আমরা কাকে চাই সেটাও তাদের মাঠপর্যায়ে এসে দেখা উচিত। জয়ের বিষয়ে শতভাগ আশাবাদী হয়ে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, বিধি অনুযায়ী আমিই লাঙ্গল প্রতীক পাবো।
রংপুরের সর্বস্তরের মানুষ আমাকে চায়। আমার ভোট পরিচালনা বিষয়ক সকল প্রস্তুতিও ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৯ ডিসেম্বর আমি আমার নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করবো। জাতীয় পার্টির হয়ে মনোনয়ন সংগ্রহ করা আরেক প্রার্থী আব্দুর রউফ মানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। সেইসাথে এ বিষয়ে নতুন করে মন্তব্য করতে চাননা তার কর্মী ও সমর্থকরাও। তাদের মতে, সিদ্ধান্ত এলেই সবাই বিস্তারিত জানতে পারবে।