তবে সেবা নিতে গিয়ে এ প্রতিষ্ঠান থেকে নানা হয়রানির শিকার হয় গ্রাহকেরা। এমন নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে রংপুর বিআরটিএর কার্যক্রম নিয়েও। সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ, রংপুর বিআরটিএ অফিসে সরাসরি না নিয়ে আত্মীয়দের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করছেন অনেক কর্মকর্তারা। অভিযোগের সূত্র ধরে রংপুর বিআরটিএ অফিসে সরাসরি যান এ প্রতিবেদক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিয়োগপ্রাপ্ত নন তবুও দিনের পর দিন সরকারি অফিসে বসে অনেকটাই আড়ালে থেকে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন। বিভিন্ন বিভাগে নিয়মিত কর্মীদের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করছেন তারা। লাইসেন্স অনুমোদনের কাজ করেন সাখাওয়াত হোসেন তিনি প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক ফারুক আলমের শ্যালক। সরকারি কর্মচারী না হয়েও দিনের পর দিন দপ্তরে বসে করছেন দাপ্তরিক কাজ।
এদিকে ডিজিটাল স্ক্যানিং বিভাগে কাজ করেন রাশেদুল ইসলাম তিনিও সহকারী পরিচালক ফারুক আলমের চাচাতো ভাই। যাদের কাছে নেই কোনও নিয়োগ বা কাজের অনুমতি পত্র। কিভাবে কাজ করছেন তারা? এমন প্রশ্নের জবাবে দুজনেই বলেন, আমাদেরকে ডিজি ও ডিডি মহোদয়ের সমন্বয়ে এডি সাহেব দায়িত্ব দিয়েছেন। এর বেশি কিছু বলতে পারবো না। সেবা গ্রহীতাদের অভিযোগ, কর্মকর্তাদের এসব আত্মীয়-স্বজন নানা অনিয়মে জড়িত। সেবা নিতে আসা সোহরাব হোসেন বলেন, লার্নারের জন্য টাকা দিয়েছিলাম, কাজ হয়নি। এখানে দালালদের দৌরাত্মও বেশি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে, অনেকটা উত্তেজিত হয়ে রংপুর বিআরটিএ এর সহকারী পরিচালক ফারুক আলম বলেন, কিসের অভিযোগ, এসব আমার অথরিটি দেখবেন। আপনি এসব দেখার কে? কোনও তথ্য আমি আপনাকে দিবো না, তথ্যের দরকার হলে তথ্য অধিকার আইনে অভিযোগ করুন।
এসব শুনে অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। তিনি বলেন, সত্যতা প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে তাদের বিরুদ্ধে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর সেবা খাতে দুর্নীতি জরিপ ২০২১ শিরোনামের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্নীতিগ্রস্থ প্রতিষ্ঠানের তৃতীয় স্থানে অবস্থান বিআরটিএ এর। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু বা নবায়ন, মোটরযান রেজিষ্ট্রেশন, শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স, মোটরযান রুট পারমিট ইস্যু বা নবায়নসহ নানা সেবা গ্রহনে সেবা গ্রহীতাদের ৬৮.৩ শতাংশ মানুষ দুর্নীতির শিকার হন